
আমাদের ভারত, কোচবিহার, ২৮ জানুয়ারি: পৌরসভা নির্বাচনের আগে নিজেদের জমি প্রস্তুত করতে তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত কোচবিহার পৌরসভার বিরুদ্ধে একযোগে পথে নামল বাম ও কংগ্রেস। আজ বাম ও কংগ্রেস যৌথ মঞ্চের উদ্যোগে কোচবিহার পৌরসভার বিভিন্ন দুর্নীতি, স্বজনপোষণ এবং নাগরিক পরিষেবা নিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সামিল হল এই দুই দল। আজ জেলা কংগ্রেস দপ্তর থেকে মিছিল করে পৌরসভার সামনে আসে তারা, সেখানে অবস্থান বিক্ষোভ করে। এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন চার বামদলের জেলা নেতৃত্ব ছাড়াও জেলা কংগ্রেস নেতৃত্ব। যৌথ মঞ্চের পক্ষ থেকে এদিন পৌরসভা একটি ডেপুটেশন দেওয়া হয়।
এদিন একযোগে তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপির সমালোচনা করেন যৌথ মঞ্চের নেতৃত্ব। তারা আশাবাদী আগামী পৌর নির্বাচনে কোচবিহার জেলার পুরসভায় মানুষ জোটকেই বেছে নেবে।
সিপিএম নেতা তথা কোচবিহার পৌরসভার বিরোধী দলনেতা মহানন্দ সাহা অভিযোগ করেন, “তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত পৌরসভা সাধারণ মানুষের পরিষেবা দিতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ। নিয়োগ সহ একাধিক দুর্নীতিতে নিমজ্জিত এই বোর্ড। সাধারণ মানুষ বিকল্প খুঁজছে, তাদের বিকল্প বাম ও কংগ্রেস,” আগামী দিনে শহরের মানুষ তাদেরকেই বেছে নেবে বলে দাবি করেছেন তিনি। একই দাবি করেছেন কংগ্রেস নেতা মীর মোশারফ। তাঁর দাবি কোচবিহার পৌরসভায় সাম্প্রদায়িক বিজেপি এবং তৃণমূল কংগ্রেসকে আটকাতে মানুষের ভরসা বাম কংগ্রেস যৌথ মঞ্চ। এদিন কোচবিহারের পৌরপতি ভূষণ সিংকে স্মারকলিপি দেওয়ার কথা থাকলেও, তিনি অনুপস্থিত থাকায় পৌরসভার আধিকারিকের কাছে এই স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়।
যদিও বাম কংগ্রেসের এই জোটকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল, কোচবিহার পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান আমিনা আহমেদ। তিনি দাবি করেন, এর আগে বাম এবং কংগ্রেস আলাদা আলাদা ভাবে কোচবিহার পৌরসভা পরিচালনার দায়িত্বে ছিল, কিন্তু তারা মানুষের চাহিদা পূরণে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে তাই তাঁদের মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে। আবার তারা নতুন করে একসাথে হয়েছে মানুষ এই জোটের পক্ষে নেই। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে কারা রয়েছেন”।
এই জোটকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। জেলা বিজেপি নেতা এবং ন্যাশনাল কাউন্সিলের সদস্য নিত্যানন্দ মুন্সি বলেন, সিএএ’র সমর্থনে কোচবিহার শহরে অভিনন্দন যাত্রায় জনজোয়ার প্রমাণ করে দিয়েছে মানুষ বিজেপিকে চাইছে, বাম কংগ্রেসের এই অনৈতিক জোট পৌর নির্বাচনে কোনো ছাপ ফেলতে পারবে না, তৃণমূলকে সরিয়ে পৌরসভা গুলি দখল করবে বিজেপি।