বিশেষ প্রতিনিধি, আমাদের ভারত, ১৯ অক্টোবর: রীতিমতো উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দিয়েছেন এপার বাংলার বাম বিদ্বজ্জনেরা। কিন্তু সেই আর্জির জেরে বামেদের একহাত নিয়েছেন নেটানাগরিকরা। মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত শতাধিক তোপ এসেছে ফেসবুকে।
এপার বাংলায় যখন উৎসবের আনন্দ। তখন ওপার বাংলায় অশান্তি আর বিষাদ। বাংলাদেশের চট্টগ্রাম থেকে কুমিল্লা, রংপুর থেকে ফেনি – নানা জায়গায় অশান্তি, কোথাও বাড়ি-ঘর-দোকানে ভাঙ্গচুর, কোথাও আগুন লাগানো হচ্ছে। পদ্মার ওপারে এই পরিস্থিতি নিয়ে দোষীদের চিহ্নিত করে শাস্তি ও সম্প্রীতি রক্ষার লিখিত আর্জি জানিয়েছেন এই বাংলার লেখক, শিল্পী, সহ বিদ্বজ্জনেরা। সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে বাংলাদেশের জনসাধারণ ও সরকারের কাছে তাঁদের আবেদন, “দেশবিরোধী, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী, জাতির জনকের উদার বিশ্বাস আর বর্তমান সরকারের নীতির বিরোধী, বিদ্বেষমূলক ও প্ররোচনামূলক এই শক্তিগুলিকে সত্বর চিহ্নিত করুন এবং তাদের নিষ্ক্রিয় করুন।” শুধু তাই নয়, এই কাজের সঙ্গে যাঁরা যুক্ত তাঁদের শাস্তিও দাবি করা হয়েছে। এই আবদনে সই করেছেন পবিত্র সরকার, মহঃ সেলিম, কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়, দেবশঙ্কর হালদার, কৌশিক সেন, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, অভিনেতা চন্দন সেন, ঋত্বিক চক্রবর্তী, পদ্মনাভ দাশগুপ্ত, ঋদ্ধি সেন সহ অনেকেই। তাঁদের এই আবেদনে তীব্র প্রতিক্রিয়া ফেসবুকে।
প্রতিক্রিয়ায় দেবরাজ ওঁরাও লিখেছেন, “একটি সম্প্রদায় দ্বারা আর একটি সম্প্রদায় আক্রান্ত। তাই প্রশ্ন করছি এখানে কাদের উদ্দেশ্যে শান্তি বজায় রাখার উপদেশ দেওয়া হচ্ছে? যারা আক্রান্ত তাদের? বিভিন্ন কমিটি পোষিত বুদ্ধিজীবীরা কী উপদেশ দিতে চাইছেন যে, শান্তি বজায় রেখে অত্যাচার সহ্য করুন? আপনাদের এই ভণ্ডামি বন্ধ করুন। সনাতনীরা আপনাদের মুখাপেক্ষী নয়। আপনাদের মুখোশ দীর্ঘদিন আগেই খুলে গেছে।“
আরও পড়ুন
শতরূপা চ্যাটার্জি লিখেছেন, “এই তো এই তো , গর্ত থেকে বেরিয়েছে সব! কতদিন পর দেখলাম।“ শ্যামল শর্মা লিখেছেন, “আমাদের পশ্চিমবঙ্গে জোটের ঐ আব্বাস সিদ্দিকী হিন্দুর দেহ থেকে মাথা আলাদা করার কথা বলছে ওটার বিরুদ্ধে এরা রাস্তায় নামছে না কেন?“ পাঁচটি হাস্যমুখ (স্মাইলি) সহ সৌরভ কৈবর্ত্য লিখেছেন, “কৌশিকের বেটা নাকি বুদ্ধিজীবী!“
আরও পড়ুন
সি ঘোষ লিখেছেন, “কাঁচের ঘরে বসা ভাড়াটেজীবী।“ সাহেব হরি লিখেছেন, “বরাহনন্দনেরা শাক দিয়ে মাছ ঢাকা দেওয়া শুরু করে দিয়েছে…।” পবিত্র দে লিখেছেন, “সব ক’টা মেরুদণ্ডহীন। সেলিম আববাস’কে নিয়ে জোট করতে কেন এর উতলা ছিল সেটা আববাসের রক্ত পিপাসা দেখেই বোঝা যায়।“ অরূপ সাহা লিখেছেন, “এরা ফ্রান্সের ঘটনায় রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করতে পারে, আর বাংলাদেশে হিন্দু বাঙালির নির্যাতনে শুধু দায়সারা ফেসবুকে…..।”
অরূপ ঘড়াই লিখেছেন, “বাংলাদেশে হিন্দু আর অবশিষ্ট থাকলে তো তবে সম্প্রীতি রক্ষা হবে!“
নীলাদ্রি মুখার্জি লিখেছেন, “ধান্দাবাজ পরজীবীর দল। আপনাদের বিবৃতি দেওয়ার প্রয়োজন নেই। এমন দিন খুব শীঘ্রই আসতে চলেছে যখন আপনার বাড়ির মহিলারাও আর সুরক্ষিত থাকবে না, তারাও ছোটখাটো এই ধরনের উপদ্রপ এর শিকার হবেন।” পূজাবতী লজ্জাবতী লিখেছেন, “ভারতের প্রতিটি রাজ্যে আসামের মতন মুখ্যমন্ত্রী চাই !”