আমাদের ভারত, ২১ জুন: যারা চাকরি দেওয়ার নামে টাকা খেয়েছেন প্রয়োজনে তাদের গলায় হাত ঢুকিয়ে জনগণের সেই টাকা বিজেপি বের করে আনবে। বালুরঘাটে একটি দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে এইভাবেই সরব হলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
এদিকে সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বলেছেন, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে।
স্কুল সার্ভিস কমিশনের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড় তৈরি হয়েছে। একের পর এক মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। প্রায় প্রতিদিন হাইকোর্টের বিচারপতির ভৎর্সনার মুখে পড়তে হচ্ছে রাজ্যকে। এপ্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, যেসব তৃণমূল নেতারা এসএসসি সহ অন্যান্য চাকরি দেওয়ার নামে কাটমানি খেয়েছেন সেইসব তৃণমূল নেতাদের নাম বিজেপি পার্টি অফিসে দিয়ে যান। বিজেপি কর্মী সমর্থকরা সেই তৃণমূল নেতাদের গলায় ভিতরে হাত ঢুকিয়ে জনগণের টাকা জনগণকে ফেরত দেবেন।
এসএসসির নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে ইতিমধ্যেই সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হয়েছে রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। যে সময় নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ সেই সময় শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন তিনি। ফলে তার ভূমিকা নিয়ে তদন্তকারীদের মনে প্রশ্ন রয়েছে। আবার অন্যদিকে প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ের চাকরি নিয়েও তুমুল কাণ্ড চলছে। যদিও সোমবার বিধানসভায় দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “পার্থ দা’কে ফাঁসানোর জন্য ষড়যন্ত্র হয়েছিল। সিপিএমের কিছু অফিসার নিয়োগ সংক্রান্ত শিক্ষামন্ত্রী সম্মতির কাগজে পার্থদা সইয়ের ওপর ফাঁকা জায়গায় বাড়তি নিয়োগের কথা পরে অনৈতিকভাবে জুড়ে দিয়েছিল বলে আমাদের বিশ্বাস। উপরে টাইপ আর নিচে ছোট করে নতুন নিয়োগের কথা লেখা হয়েছে।”
যদিও এর পাল্টায় সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর বক্তব্য, “১১ বছর ধরে সরকার চালাচ্ছেন। সিপিএম আমলের বড় বড় অফিসারা কোথায় রয়েছেন? তারা হয় বদলি হয়ে গিয়েছেন না হলে অবসর নিয়েছেন। নিজেদের অপরাধ ঢাকার জন্য অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপানোর চেষ্টা করছেন?”