আমাদের ভারত, ব্যারাকপুর, ২ ডিসেম্বর:
ডিসেম্বরে বড় কিছু হতে চলেছে এমনই ইঙ্গিত বারবার দিয়েছেন বিজেপির নেতারা। তাদের কথায় পড়েও যেতে পারে সরকার। কী হবে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে? এই প্রশ্নই ঘুরছে সব জায়গায়। তার মাঝে সুকান্ত মজুমদারের গলায় বড় হুঁশিয়ারি শোনা গেল। তার কথায় ভয়ংকর খেলা হবে।
আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের ভরাডুবি হবে বলেই মত বিজেপি রাজ্য সভাপতির। শুক্রবার উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুরে একটি প্রতিবাদ মিছিল করে বিজেপি। পদ্ম শিবিরের অভিযোগ ক্রমশ এলাকায় আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হচ্ছে, মারধর লুটপাটের মত নানা ঘটনা ঘটলেও পুলিশ সেভাবে সক্রিয় নয়। তারই প্রতিবাদে ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার ডাকে ব্যারাকপুর স্টেশন প্রাঙ্গণ থেকে চিড়িয়ামোড় পর্যন্ত মিছিল হয়। সেখানেই সভা মঞ্চ থেকে সুকান্ত হুংকার দিয়ে বলেন, ” ডিসেম্বর পড়েছে। ঠান্ডায় কাঁপবে সরকার। ২০২৪ সালে লোকসভা ও বিধানসভা ভোট একসঙ্গে হলে আশ্চর্য হবেন না।” তার আরও সংযোজন, খেলা এক পক্ষের হয় না খেলা হবে দু’পক্ষের। আর খেলা যখন হবে তখন ভয়ংকর খেলা হবে।” তৃণমূল নেতৃত্বের উদ্দেশ্য বলেন, “বারবার দিল্লিতে ডাকা হচ্ছে। দিল্লিতে আসুন না। ওখানে এলে রিমোট কন্ট্রোল আপনাদের হাতে থাকবে।”
ভাটপাড়া অস্ত্র বোমা উদ্ধার বোমাবাজি, সহ নানা ইসুতে এদিন সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে মিছিল করে বিজেপি। রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে নৈহাটিতে বিজেপির মিছিল দলের কর্মীদের এমনকি মহিলাদেরকে ব্যাপক মারধরের অভিযোগে উঠেছিল রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনার প্রতিবাদও জানানো হয় আজকের মিছিল থেকে।
মিছিলের শেষে জনসভায় সুকান্ত বলেন, “ভাটপাড়া এখন বোমার জন্য বিখ্যাত। ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় তৃণমূলের ৩০০ নেতা জেলে।” এই তথ্য দিয়ে সুকান্তবাবু বলেন, “কেউ সন্ত্রাস করে পার পাবে না। খেলা হবে। দু’পক্ষেই ভয়ংকর খেলা হবে। পুলিশ সরে গেলে ১৫ মিনিটে তৃণমূল সাফ হয়ে যাবে।”
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে কটাক্ষের সুরে সুকান্ত বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবার বুঝতে পারছেন বিজেপি কী জিনিস।”