জনতা কারফিউ উপেক্ষা করেই মুরগি কেনার লম্বা লাইন বালুরঘাটে, একমাসের ব্যবসা একদিনেই করলেন পোল্ট্রি ব্যবসায়ীরা

আমাদের ভারত, বালুরঘাট, ২২ মার্চ: জনতা কারফিউ উপেক্ষা করেই মুরগি কেনার ভিড় বালুরঘাটে। একমাসের ব্যবসা একদিনেই সারলেন পোল্ট্রি ব্যবসায়ীরা। লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে মাংস কিনলেন সাধারণ মানুষ। সমস্ত রেকর্ড ভেঙ্গে ব্যবসা করলেন ব্যবসায়ীরা। রবিবার সকাল থেকে শহর লাগোয়া চকভৃগুতে করোনায় আক্রান্ত হবার সমস্ত আশঙ্কাকে উড়িয়ে দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকলেন ক্রেতারা। নজরেই এলনা প্রশাসন বা কোন স্বাস্থ্য কর্মীদের। করোনা আতঙ্কে কিছুদিন ব্যবসায় ভাটা চললেও এদিন বিপুল পরিমাণের ব্যবসাতে খুশি পোল্ট্রি ব্যবসায়ীও।

করোনা আতঙ্কে সোশ্যাল মিডিয়ায় মুরগির মাংস নিয়ে একাধিক ভাইরাল পোস্টের জেরে পোল্ট্রি ব্যবসায় ভাটা পড়ে বিক্রেতাদের। ১৬০ থেকে ১৯০ টাকা দরের মুরগির মাংস করোনার আতঙ্কে ল ৫০-৬০ টাকাতেও কেউ কিনছিলেন না। ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে বাধ্য হয়ে অনেকেই মুরগির মাংসের সঙ্গে পেঁয়াজও ফ্রিতে দিয়েছেন। তারপরেও ক্রেতাদের মন পাচ্ছিলেন না ব্যবসায়ীরা। আর যার জেরে প্রায় ২০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরেই মাংস বিক্রি করতে হয় ব্যবসায়ীদের।

এদিন জনতা কারফিউয়ে সকাল থেকেই চকভৃগুর বাসস্ট্যান্ড এলাকার ব্যবসায়ী হিমাংশু দাসের দোকানে উপচে পড়ে ক্রেতাদের ভিড়। একসাথে প্রচুর মানুষের ভিড় লক্ষ্য করে কিছুটা দাম বাড়িয়ে ৩৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে মুরগির মাংস বিক্রি করেন ওই ব্যবসায়ী। প্রতিদিন ৫০ থেকে ৬০ কেজি মুরগির মাংস বিক্রি হলেও এদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত প্রায় ১৫ কুইন্ট্যাল মাংস বিক্রি করেছেন বলেও দাবি করেছেন ওই ব্যবসায়ী। আর যার ফলে জনতা কারফিউ উপেক্ষা করেই এদিন দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে ওই মাংস কিনেছেন ক্রেতারা।

ব্যবসায়ী হিমাংশু দাস জানিয়েছেন, করোনা আতঙ্কের জেরে বেশ কিছুদিন ধরে ব্যবসায় মন্দা চলছিল। কিন্তু এদিন ভালোই ব্যবসা হয়েছে। সাধারণ মানুষ আতঙ্কেই মুরগির মাংস কেনা থেকে পিছিয়ে যাচ্ছিলেন।তবে এদিন এই জনতা কারফিউয়ের দিনে সমস্ত রেকর্ড ভেঙ্গে ব্যবসা করেছেন। যাতে কিছুটা লাভের অঙ্ক দেখেছেন।

আপনাদের মতামত জানান

Please enter your comment!
Please enter your name here