
আমাদের ভারত,১৬ মার্চ: বিধানসভা অধিবেশন ২৬ শে মার্চ পর্যন্ত মুলতবি হতেই ভিকট্রি সাইন দেখিয়ে বিধানসভা ত্যাগ করেছিলেন কমলনাথ। কিন্তু সেই স্বস্তি দীর্ঘ স্থায়ী হল না। আস্থা ভোটের দাবিতে এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল বিজেপি। ফলে আরও জটিল হল মধ্যপ্রদেশের পরিস্থিতি। মঙ্গলবার হবে শুনানি।
মধ্যপ্রদেশের রাজ্যপালের নির্দেশ সত্ত্বেও বিধানসভায় সোমবার আস্থা না হওয়ায় কিছুটা স্বস্তিতে ছিল কমলনাথ সরকার। কিন্তু করোনাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে না ফেলতেই বিজেপি দ্বারস্থ হলো সুপ্রিম কোর্টে। শিবরাজ সিং চৌহান সহ অন্যান্য বিজেপি নেতারা সোমবার সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দাখিল করেছেন। তাতে বলা হয়েছে শাসক কংগ্রেসের ২২ জন বিধায়ক পদত্যাগ করেছেন এদের মধ্যে ৬ জনের ইস্তফা অধ্যক্ষ গ্রহণ করেছেন। ফলে সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছে কমলনাথ সরকার। তাই তাদের ক্ষমতায় থাকার আর কোন অধিকার নেই। সেইজন্যই আস্থা ভোট হওয়া প্রয়োজন।
রাজ্যপালও সেই নির্দেশ দিয়েছেন। ১২ ঘণ্টার মধ্যে আস্থা ভোট করানোর জন্য যেনো সুপ্রিম কোর্ট কমলনাথ সরকারকে নির্দেশ দেয়। সেই আর্জি জানানো হয়েছে বিজেপির আবেদনে। সুপ্রিম কোর্টে মামলার শুনানি হবে মঙ্গলবার।
রাজ্যপাল নির্দেশ দিয়েছিলেন সোমবার আস্থা ভোট করানোর। কিন্তু মধ্যপ্রদেশ বিধানসভা আস্থা ভোট হবে কিনা তা নিয়ে রবিবার থেকেই রহস্য তৈরি হয়েছিল। কারণ অধ্যক্ষ জানিয়েছিলেন সোমবার আমি আমার সিদ্ধান্ত জানাবো। সোমবার অধিবেশন শুরু হতেই রাজ্যপাল বলেন, “সবার সংবিধানের নিয়ম মেনে চলা উচিত যাতে মধ্যপ্রদেশের মর্যাদা অক্ষুন্ন থাকে”। এরপরই উভয়পক্ষের বিধায়কদের মধ্যে তুমুল চিৎকার চেঁচামেচি শুরু হয়। একপক্ষ আস্থা ভোটের দাবি জানায়। একপক্ষ বলে করোনা আতঙ্ক আস্থা ভোট অগণতান্ত্রিক। এরপর অধ্যক্ষ ২৬শে মার্চ পর্যন্ত মুলতবি করে দেয় অধিবেশন। ফলে কমলনাথ সরকারের কাছে ১০দিন সময় হাতৈ চলে এল বলে মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু সবকিছুতে জল ঢেলে বিজেপি আস্থা ভোটের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়।