আমাদের ভারত, মালদা, ১৮ ডিসেম্বর: শুভেন্দুর তৃণমূল ত্যাগের সাথে সাথে মালদাতে পদত্যাগের হিড়িক চলছে জোড় কদমে। এবার তৃণমূলের সাথে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করলেন মালদার গাজলের তৃণমূল বিধায়ক দিপালী বিশ্বাসের স্বামী রঞ্জিত বিশ্বাস। রঞ্জিত বিশ্বাস তৃণমূলের মালদা জেলার সাধারণ সম্পাদক পদে ছিলেন। রঞ্জিত বিশ্বাসের তৃণমূল ত্যাগ নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত জেলা তৃণমূল কংগ্রেস।
তৃণমূলের জেলা সভানেত্রী মৌসম বেনজির নূর বলেন, রঞ্জিত বিশ্বাসের সাথে ফোনে কথা বলবো। প্রয়োজনে রাজ্য নেতৃত্ব তার সাথে আলোচনা করবে যাতে তিনি তৃণমূল না ত্যাগ করেন।
অন্যদিকে উল্টো সুর আর এক নেতার। মালদা জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর দুলাল সরকার বলেন, রঞ্জিত বিশ্বাস দল ত্যাগ করেছে ভালো হয়েছে। অন্যদল যাবে সেই দলটাকে পঁচিয়ে দেবে।তৃণমূলে এসেছিল ব্যবসা করতে। ব্যবসা শেষ অন্য দলে যাচ্ছে। তাকে প্রার্থী করলেও সে জিতত না। সে ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে গাজোল কেন্দ্র থেকে সিপিএমের প্রতীকে জয়ী হন দিপালী বিশ্বাস। সেই বছরই তিনি সিপিএম ত্যাগ করে তৃণমূলে যোগদান করেন।
রাজনৈতিক সূত্রের খবর, শুভেন্দু অধিকারীর দলত্যাগের পর একের পর এক নেতা তৃণমূল ত্যাগ করতে পারে। শুভেন্দু অধিকারী দীর্ঘদিন মালদার অবজারভার ছিলেন। জেলায় প্রচুর অনুগামী রয়েছে তার। একের পর এক তৃণমূল নেতার দলে ছাড়ায় উল্লসিত বিজেপি। এই ধরনের অনেকেই বিজেপির সাথে যোগাযোগ করছে আরও অনেকেই আসবে। তৃণমূল খালি হয়ে যাবে বলে দাবি করেন জেলা বিজেপির সভাপতি গোবিন্দ্র চন্দ্র মন্ডল।