প্রধানমন্ত্রী দূরের কথা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্র সরকারের চাপরাশিও হতে পারবেন না: সুকান্ত

আমাদের ভারত, ২ মে: ভারতবর্ষের মানুষের সামনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রক্ত পিপাসু রূপ প্রকাশ পেয়ে গেছে। মানুষ তাকে ঘৃণা করে। তাই প্রধানমন্ত্রী তো দূরে থাক কেন্দ্রীয় সরকারের চাপরাশিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হতে পারবেন না। ভোট পরবর্তী হিংসায় বিরোধী দলের কর্মীদের একের পর এক খুনের ঘটনার প্রতিবাদ করতে গিয়ে মু্খ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এভাবেই সরব হন সুকান্ত মজুমদার।

২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকেই বিজেপি কর্মীরা শাসকের হাতে আক্রান্ত হচ্ছেন। এই অভিযোগ নিয়েই মঙ্গলবার ধর্মতলায় বিক্ষোভ সমাবেশ করে বিজেপি। সেখানে দলের সাংসদ বিধায়করা হাজির ছিলে। সবার শেষে সকলে মিলে বাবুঘাটে দলের মৃত কর্মীদের শহিদদের আখ্যা দিয়ে তাদের উদ্দেশ্যে তর্পণ করেন। সেখানে ময়নায় বিজেপির বুথ সভাপতিকে অপহরণ করে খুনের ঘটনায় সরব হন সুকান্ত মজুমদার।

তিনি বলেন, “গতকাল ঘটনাটি ঘটেছে। রাত বারোটার সময় ওখানকার বিধায়ক অশোক দিন্দা আমাকে ফোনে জানায় যে আমাদের বুথ সভাপতিকে অপহরণ করা হয়েছে এবং তার সাথে আরো একজনকেউ অপহরণ করা হয়েছে। তার কিছুক্ষণ পরে আবার তিনি জানান যে, দলের কর্মীরা গুলির শব্দ পেয়েছে এবং দেখেছেন একটি লাশকে কাঁধে করে বাইকে করে নিয়ে যেতে।” বিজেপি নেতা বলেন, তারপরে তারা খবর পান সেই বিজেপি কর্মীকে খুন করা হয়েছে এবং খুন করে তার বডি পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।”

সুকান্ত মজুমদার দাবি করেন, অভিজিৎ সরকারের সঙ্গে যেটা শুরু হয়েছিল তার কোনো পরিবর্তন হয়নি। আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিকদের বলেন, তিনি মোদীকে সরাবেন। এই প্রসঙ্গ তুলে সুকান্ত বলেন, মমতার রক্ত পিপাসু রূপ গোটা ভারতবর্ষের মানুষ দেখে নিয়েছে। ঘৃণায় ভারতবর্ষের মানুষ চারদিকে থুথু করছে। প্রধানমন্ত্রী তো দূরের কথা, কেন্দ্রীয় সরকারের চাপরাশিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হতে পারবেন না।”

ময়নার ঘটনায় আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, “আমাদের কাছে খবর আছে, খুন করার পর বডি পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ নদী পার করে বডি নিয়ে গেছে।” বিজেপির রাজ্য সভাপতির অভিযোগ, প্রমাণ লোপাটের সমস্ত রকম চেষ্টা করা হয়েছে। তাই তারা আদালতে যাচ্ছেন। রাজ্য পুলিশ প্রশাসনের ময়না তদন্তে তাদের বিন্দুমাত্র বিশ্বাস নেই। তারা কেন্দ্রীয় কোনো হাসপাতালে ময়না তদন্তের দাবি জানাবেন।

এই খুনের ঘটনায় ময়নার প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক সংগ্রাম দলুইয়ের যোগ থাকার অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। ঘটনার তীব্র নিন্দা করে মঙ্গলবার সকালেই টুইট করে সুকান্ত লিখেছিলেন, ২ মে ২০২১ বাংলার ইতিহাস একটি অন্ধকার দিন। তৃণমূল কর্মীরা বিজেপি কর্মীদের ওপর ভয়ঙ্কর সহিংসতা চালায়, রাজ্যে চলতে থাকা ধর্ষণ অগ্নি সংযোগ খুন ও লুটপাটের ঘটনা দেখে ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী নবান্ন থেকে শুধুই মুচকি হাসেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *