আমাদের ভারত, ১৪ আগস্ট:
অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে মুখ খুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার সন্ধ্যা বেলায় এক অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কেষ্টকে কেন গ্রেফতার করা হলো? ওর দোষ কি? ওকে জেলে রেখে কি হবে? আর এর ফলে স্পষ্ট হলো পার্থর পাশে দল না দাঁড়ালেও অনুব্রতকে একা ছেড়ে দিচ্ছে না তার দল।
বীরভূমে তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন। গরু চুরির মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, বিষয়টি বিচারাধীন, দল আইনের শাসনে বিশ্বাস করে। একইসঙ্গে দলের তরফে সিবিআইয়ের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছিল, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতো কি অনুব্রতর ক্ষেত্রেও দূরে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী? কিন্তু তার কথায় স্পষ্ট যে পার্থ আর অনুব্রতকে তৃণমূল এক দৃষ্টিতে দেখছে না। কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, অনুব্রত সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ছেলেটা গত দু’বছর কষ্ট পেয়েছে। স্ত্রী ক্যান্সারে কষ্ট পেতো। কেষ্ট বলল জানো তো তোমার বৌমা বলল তুমি ভোটের কাজ করো।”
মমতা বলেন, “অনুব্রতকে অনেকবার এমপি এমএলএ হতে বলেছি হয়নি। রাজ্যসভায় পাঠাতে চেয়েছি যায়নি। নেত্রী বলেন, সব খবর সূত্রের মাধ্যমে জানা গেছে। সূত্র সূত্র সূত্র, ওয়াট ইজ সূত্র, এটা কি মলসুত্র।
এরপরই বিজেপির দিকে নিশানা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “২০২৪ এ মোদী জিতবে না। তাই খেলা শুরু করেছে। বাংলাকে দুর্বল করে দিতে চাইছে। যাতে কেউ তৃণমূল না করে। পারবে না। ওদের হাতেনাতে ধরলাম। ঝাড়খণ্ডের তিনজন এম এল এ গ্রেপ্তার হয়েছে। মহারাষ্ট্র ভেঙেছে।
তৃণমূল নেত্রীর কথায়, “ফেডারেল স্ট্রাকচারকে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। তোমার কেন হবে না। তোমার কেন সিবিআই হবে না? তুমি মহারাজ সাধু হলে, আমি চোর হলাম।
এরপর সিপিএমকে নিশানা করেন মমতা বলেন, “সিপিএম জগাই মাধাই। এগুলো সব সিপিএমের আমলের কেস। আমি অশান্তি চাইনি বলে গায়ে হাত দিইনি। কুজন বাবু, মিস্টার চৌধুরী কতগুলো গরু, কতগুলো কয়লা, কত ময়লা? বের করব একটু?”