চিন্ময় ভট্টাচার্য, আমাদের ভারত, ১৫ মে: রাজ্যের কোভিড হাসপাতালগুলির ব্যবস্থা যে অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় ভালো তা কার্যত এবার মেনে নিল কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। আইএমসি টিম পশ্চিমবঙ্গ ছেড়ে যাওয়ার পর করোনা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখতে এই প্রতিনিধি দলকে পাঠিয়েছিল কেন্দ্র। সূত্রের খবর, গতকালই সেই কেন্দ্রীয় দলের দুই সদস্য বেলেঘাটা আইডির পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গিয়েছিলেন। যাবতীয় পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে তাঁরা আইডির ব্যবস্থাপনা ‘দুর্দান্ত’ বলেই জানিয়েছেন। ওই প্রতিনিধি দলের সদস্যরা নাকি আরও বলেছেন, ‘আমরা আশা করি যে মানবিক মুখ নিয়ে, কর্তব্যপরায়ণতার সঙ্গে এই হাসপাতাল বর্তমান পরিস্থিতিতে কাজ করছে, ভবিষ্যতেও সেই একই ভাবে কাজ করবে।’
এই প্রশংসার ভিত্তিতে বলা যায়, রাজ্যে আশা আইএমসি টিম যেভাবে একের পর এক চিঠি দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে করোনা পরিস্থিতিতে ব্যবস্থাপনা ইস্যুতে আক্রমণ করে গিয়েছে, এই কেন্দ্রীয় দলের মুখের কার্যত তার বিপরীত সুরই শোনা গেল। কেন্দ্রের এই প্রতিনিধিদলে অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ হাইজিন অ্যান্ড পাবলিক হেলথ-এর প্রিভেনটিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিন ডিপার্টমেন্টের ডিরেক্টর অপরাজিতা দাশগুপ্ত এবং পাবলিক হেলথ স্পেশালিস্ট লীনা বন্দোপাধ্যায় ছিলেন। এক চিঠিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে তাঁরা আরও লিখেছেন, ‘আমরা হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা দেখে অত্যন্ত আপ্লুত। এমনকী, হাসপাতাল যেভাবে কোভিড রোগীদের দেখাশোনা করার জন্য উপযুক্ত খাদ্য, যাতায়াত ব্যবস্থা এবং দরকারে থাকার ব্যবস্থা করছে, তা দেশের অন্যান্য হাসপাতলে অমিল। এমনকী, হাসপাতাল পরিদর্শনে এসে যে ধরনের তথ্য আমরা চেয়েছি, তা মুহূর্তের মধ্যে আমাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।’
এদিকে হাসপাতালে প্রিন্সিপাল অনিমা হালদার জানিয়েছেন, ‘কেন্দ্রের পাঠানো দল আমাদের থেকে জানতে চেয়েছিল কোভিড মোকাবিলায় আমাদের কোনও সমস্যা হচ্ছে কি না! কোনও চিকিৎসা সরঞ্জামের ঘাটতি আছে কি না! আমরা তাঁদের জানিয়েছি, সব কাজ ঠিকঠাক চলছে। কিন্তু বিপুল মাত্রায় রোগী সামাল দিতে আরও কর্মীর প্রয়োজন রয়েছে। তাছাড়া হাসপাতালে ১৪টি শয্যা বিশিষ্ট সিসিইউ ইউনিট চালু হবে আগামী সপ্তাহের শুরুতেই। পুরো বিষয়টি দেখে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল আশ্বস্ত হয়েছেন বলেই জানিয়েছেন।’