করোনা সংকটে খারাপ মাস্ক, টেস্ট কিট পাঠিয়ে ঠকাচ্ছে চিন, অভিযোগ একাধিক দেশের

আমাদের ভারত, ৯ এপ্রিল: মারন ভাইরাস করোনা ছড়ানো সম্পর্কিত তথ্য গোপন করেছে চিন। এই অভিযোগ আমেরিকা ব্রিটেন সহ একাধিক দেশ আগেই করেছে। কিন্তু এবার চিনের বিরুদ্ধে করোনা সংকটে পাশে না দাঁড়িয়ে খারাপ মানের মাস্ক, টেস্টিং কিট সহ চিকিৎসা সামগ্রী পাঠানোর অভিযোগ করল একাধিক দেশ। তাদের অভিযোগ মানবিক কারণেই যখন চিনের পাশে দাঁড়ানো উচিত তখন খারাপ মানের জিনিস পাঠিয়ে ঠকাচ্ছে চিন।

করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে একাধিক দেশে মাস্ক পাঠানোর বরাত পেয়েছে চিন কিন্তু সেই মাস্ক পাঠাতে গাফিলতি করছে চিন। অথচ চিনেই প্রথম করোনার থাবা বসেছিল। ফলে সেই রোগের মারন প্রকোপ সম্পর্কে সে দেশ ভালো রকমভাবে অবহিত। কিন্তু তাও করোনা মোকাবিলায় অন্যদেশে রপাশে দাঁড়ানোর বদলে ঠকিয়ে চলেছে চিনএমনই মারাত্মক অভিযোগ তুলছেন অনেক দেশ। বুধবার ফিনল্যান্ডের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে চিনের তৈরি ২০লক্ষ সার্জিক্যাল মাস্ক এবং ২ লক্ষ ৩০ হাজার রেস্পিরেটরি মাস্ক দেশে আমদানি করা হলেও তারমান ঠিক না হওয়ায় একটিও কাজে লাগবে না।

টরেন্টের তরফেও একটি টুইটে বলা হয়েছে প্রায় ৬২ হাজার মাস্ক বুধবার চিনের পক্ষ থেকে পাঠানো হয়েছিল সেখানে। কিন্তু সেগুলি সবকটি ফেরাতে হয়েছে। কারণ এগুলির মান অত্যন্ত খারাপ। প্রায় কুড়ি লক্ষ ডলারের মাস্খ ফিরিয়ে দিয়েছে এই দেশ।

স্পেন অর্ডার দিয়েছিল প্রায় ৩ লক্ষ ৪০ হাজার টেস্টিং কিটসের। দেশের সরকার জানিয়েছে এরমধ্যে ৬৯ হাজার টেস্টিং কিটে কোন কাজই করা যাবে না।

নেদারল্যান্ডসের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে মার্চ মাসে প্রায় ছয় লক্ষ টেস্টিং কিট চিন থেকে আসার কথা ছিল। সেই কিট দেশে পৌঁছেছে। কিন্তু সেগুলির ফিল্টার ঠিকমতো কাজ করছে না। মানের দিক থেকে এগুলি ভীষণ খারাপ।

চিনের এহেন বা ব্যবহারে ক্ষুব্ধ বিশ্বের অনেক দেশ। অনেকেই চটেছেন চিনের ওপর। তাদের অভিযোগ এই সংকটের মুহূর্তে মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে কিভাবে আরো কঠিন পরিস্থিতির মুখে তাদের ফেলে দিচ্ছে চিন? প্রথম করোনা মহামারী চীনকেই গ্রাস করেছিল। সেই সময় তাকে নানাভাবে সাহায্য করেছিল বহু দেশ। চিন সেই সংকট সামলে উঠলেও একের পর এক মৃত্যু মিছিল শুরু হয়েছে ইউরোপের দেশ গুলিতে। এই পরিস্থিতিতে চিকিৎসা সামগ্রী পাঠাচ্ছে চিন। কিন্তু সেই সামগ্রী কার্যকরী নয় মান ভালো নয়। ফলে সেসব ফিরিয়ে দিচ্ছে বা বাতিল করতে হচ্ছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। সেই সব দেশ গুলির অভিযোগ বিশ্বের সবচেয়ে বড় সংকটে দাঁড়িয়ে ঠকাচ্ছে চিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *