
আমাদের ভারত, বালুরঘাট, ২৪ জানুয়ারি: দেশজুড়ে এনআরসি ও সিএএ নিয়ে সরগরম পরিস্থিতির মধ্যেই দক্ষিণ দিনাজপুরের ডিস্ট্রিক্ট রেজিস্ট্রি অফিস থেকে আচমকা উধাও বহু সরকারী ফাইল। পরিসংখ্যান নিয়ে ধন্দে দপ্তরের আধিকারিক। দুশ্চিন্তার ভাঁজ প্রশাসনিক আধিকারিকদের কপালে। এই নিয়ে শোরগোল গোটা জেলায়।
খোদ জেলা প্রশাসনিক ভবন চত্বরে অবস্থিত জেলা নিবন্ধকরনের অফিস থেকে এমন ফাইল (ভলিয়ম) গায়েব হবার ঘটনায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। ঘটনায় নিরাপত্তা ব্যবস্থার এক দুর্বল দিকই সামনে এসেছে বলে মনে করছেন অনেকে। যদিও এখনও পর্যন্ত কতগুলি ফাইল গায়েব হয়েছে সে বিষয়ে নিশ্চিত ভাবে কোনও তথ্য দিতে পারননি জেলা নিবন্ধকরন আধিকারিক অনিন্দ সুন্দর প্রধান।
জেলার সরকারী জমি থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের জমিজমা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ ফাইল সবই মজুত থাকে জেলা রেজিস্ট্রার অফিসে। জমি কেনাবেচার রেজিস্ট্রেশন তথ্য থেকে শুরু করে মিউটেশন, বিয়ের নথি সহ আরও একাধিক বিষয়ের যাবতীয় তথ্য ভলিয়ম আকারে রাখা থাকে সরকারী ওই অফিসে। এমন পরিস্থিতিতে প্রশাসনিক ওই দপ্তরের অবহেলায় বহু ভলিয়ম উধাওয়ের ঘটনা সামনে এসেছে। যেখান থেকে গায়েব হয়ে গিয়েছে সরকারী বেশকিছু জমির কাগজপত্রও, বলে সুত্রের খবর। আর যাকে ঘিরেই কার্যত দুশ্চিন্তায় পড়েছেন দপ্তরের বেশকিছু সরকারি আধিকারিক। এমন ঘটনায় সরকারি সম্পত্তির হিসাবেও গড়মিল সামনে আসবে বলেই মনে করছেন অনেকেই।
জেলা নিবন্ধকরন আধিকারিক অনিন্দ সুন্দর প্রধান জানিয়েছেন, কত সংখ্যক ভলিয়ম মিসিং হয়েছে সেই বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনও তথ্য দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। খুঁজে দেখার পরেই তা বলা সম্ভব হবে কত পরিমান ভলিয়ম উধাও হয়েছে। তাদের তল্লাশি প্রক্রিয়া জারি আছে। তবে বর্তমানে যারা রেজিস্ট্রেশন করবেন তাঁদের সাথে সাথে মিউটেশন করার বার্তাও এদিন দিয়েছেন তিনি। সেক্ষেত্রে যদি কোনও সমস্যা হয় তাহলে দপ্তরে এসে তার সাথেই যোগাযোগ করতে পারেন সাধারণ মানুষ।
জেলা আদালতের বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিদ্যুৎ রায় জানিয়েছেন, জেলা রেজিস্ট্রার অফিস থেকে ভলিয়ম হারিয়ে যাওয়ার ঘটনায় সবচেয়ে বেশী সমস্যায় পড়বেন সাধারণ মানুষ। বর্তমানে ওই সব লোকেদের জমির দলিল নষ্ট হয়ে গেলে তা পুনরায় পেতে চরম হয়রানির শিকার হতে হবে। আবার তা পুনরায় নাও পেতে পারেন অনেকে।
বিষয়টি নিয়ে জেলা শাসক নিখল নির্মল জানিয়েছেন, ঘটনা জানবার পরেই এনিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।