জীবন যুদ্ধের লড়াইয়ে সুপর্ণাকে আদর্শ করে বাঁচতে চাইছে এখন অনেকেই

স্নেহাশীষ মুখার্জি, আমাদের ভারত, নদিয়া, ২৯ ফেব্রুয়ারি: সুপর্ণা সাহার জন্ম শান্তিপুরের বিখ্যাত গোপালপুরের সাহা বাড়িতে। ২০০৮ সালে সুপর্ণার বিয়ে হয় আলু ব্যবসায়ী ২নং গেটের কাছে রামকৃষ্ণ মাঠ এলাকায় শ্যাম সাহার সঙ্গে। শ্যামারা চার ভাই, স্বচ্ছলতা কম থাকলেও সুখ-শান্তি সব সময়ে বিরাজ করতো বাড়িতে।

বছর তিনেক আগে শ্যামের সেরিব্রাল অ্যাটাক হয়।
তখন থেকেই সুপর্ণা এই দোকানের হাল ধরে এবং শ্যামের চিকিৎসা চালায়। সুপর্ণার ১০ বছরের একটি ছেলে আছে, সে এখন চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে। বাড়িতে অসুস্থ স্বামী ও ছোট্ট ছেলের পুরো দায়িত্ব নিজে হাতে নিয়েছে সুপর্ণার বড় ‘জা’। শ্যামকে খাবার ও ওষুধ খাওয়ানো ও বাচ্চাটির আবদার, বায়না সবকিছুই হাসি মুখে মিটিয়েছেন ওর বড় ‘জা’। ভাশুর ও বড় জায়ের কথা বলতে গিয়ে সুপর্ণার শ্রদ্ধায় মন ভরে ওঠে।

মাস তিনেক আগে সুপর্ণার স্বামী, শ্যাম মারা যায়। এখন সুপর্ণার কঠিন লড়াই ছেলেকে মানুষ করার। তবে এখন নিশ্চিন্তে একা স্বামীর ব্যবসা নিজে হাতে চালাচ্ছেন, কারণ বাড়িতে ছেলের দায়িত্ব পুরোটাই তার আর এক মা ওর জ্যেঠিমার। অন্যের সঙ্গে সুপর্ণার একটা তফাৎ কাউকে দোষারোপ করে না। অসম্ভব ভক্তি ও ভালবাসা স্বামীর প্রতি, বলে মানুষটা খুব ভাল ছিল। শয্যাশায়ী অবস্থায়ও আমাকে শিখিয়েছে কি করে ব্যবসা করতে হয়।

স্টেশন বাজারে প্রথম দরজা দিয়ে ঢুকে তরকারি বাজারে গেলেই দেখা যাবে দ্বিতীয় দোকানটিতে আন্তরিকতার সঙ্গে বিক্রেতাদের সামলাচ্ছে সুপর্ণা। আশা করি মানুষের সহযোগিতা আরও বেশি করে পাবে সুপর্ণা। সুপর্ণার জন্য রইল শুভেচ্ছা।

আপনাদের মতামত জানান

Please enter your comment!
Please enter your name here