করোনা ও আমফানকে উপেক্ষা করে দাম্পত্য জীবন শুরু করল গোবরডাঙার বসু পরিবারের ছেলে

সুশান্ত ঘোষ, আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগণা, ২৫ মে: একদিকে করোনার জেরে লক ডাউন। অন্যদিকে আমফানের তান্ডবে ধ্বংসস্তূপের মাঝে মন্দিরে বিয়ে হল যুবক যুবতীর। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার গোবরডাঙ্গা থানার রাজবল্লভপুর গ্রামের বসু পরিবারে। স্বপ্ন বয়েজ হোমের উদ্যোগে গ্রামের মা-ভবতারিণী মন্দিরে সামাজিক দূরত্ব মেনে, সরকারি নিয়ম মেনে দাম্পত্য জীবন শুরু করেন, স্বপন বিশ্বাস ও কাকলি সরদার। আর এই বিয়েতে সাক্ষী থাকলেন বারাসাত কোর্টের আইনজীবী।

এরা এইচআইভি সংগঠনের কর্মী। এদের দু’জনের নতুন দাম্পত্য আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের মতো নয়। এরা দুজনেই এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত। নদিয়া জেলার হরিণঘাটা এলাকার বাসিন্দা কাকলি সরদাররা চার বোন দুই ভাই। সকলের ছোট কাকলি ২০১৮ সালে রক্তপরীক্ষা করে জানতে পারেন এইচআইভি আক্রান্ত। তারপর বাড়িতে আর জায়গা হয়নি। গোপনে এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়ে ওঠেন। সেই আত্মীয় কয়েকদিন আগে প্রতিবেশী এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে ঠিক করেন কাকলির। কাকলি রাজি ছিলেন না কারণ ছেলেটি নেগেটিভ। সেই সময় যোগাযোগ হয় উত্তর ২৪ পরগনা জেলার এইচআইভি সংগঠনের সঙ্গে। তারপর সংগঠনের সদস্য বারাসতের বাসিন্দা এইচআইভি পজেটিভ স্বপন বিশ্বাস পেশায় ব্যবসায়ী সঙ্গে রবিবার রাতে বিয়ে হল। সমাজের কাছে বার্তা দিলেন এইচআইভি মানেই জীবন শেষ নয়। দুজন এইচআইভি পজিটিভ মানুষের বিয়ে হতে পারে।

সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে, এ পর্যন্ত তারা ১৬ জন এইচআইভি পজিটিভ ছেলে-মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। তারা সুস্থ আছেন এবং তাদের ছেলেমেয়েরাও নেগেটিভ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *