আমাদের ভারত, ১৫ আগস্ট: মেয়েদের বিয়ের নূন্যতম বয়স কত হওয়া উচিত, তা পুনর্বিবেচনা করে দেখছে মোদী সরকার। স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে এমনটাই জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানান দেশজুড়ে ইতিমধ্যেই এই বিষয়টি নিয়ে সমীক্ষা শুরু হয়েছে। গঠিত হয়েছে একটি কমিটি। তাদের সুপারিশ মেনেই চূড়ান্ত হবে সিদ্ধান্ত।
বর্তমানে ভারতের মেয়েদের বিয়ের নূন্যতম বয়স ১৮ বছর। ছেলেদের ক্ষেত্রে তা ২১ বছর। বেশ কিছুদিন ধরেই মেয়েদের বিয়ের বয়সের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করে দেখার জল্পনা চলছে। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় মানসিকভাবে প্রস্তুত হওয়ার আগেই বিয়ে অথবা মাতৃত্বের মত বড় দায়িত্ব চাপিয়ে দেওয়া হয় মেয়েদের উপর। আর এর ফলে মা ও সন্তান দুজনের স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ে যায়। একাধিক বার এই বিষয়গুলি আলোচনায় উঠে এসেছে। তাই মেয়েদের বিয়ের বয়সের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করে দেখার চিন্তাভাবনা করছে কেন্দ্রীয় সরকার।
স্বাধীনতা দিবসের বক্তব্য প্রধানমন্ত্রী বলেন, মেয়েদের বিয়ের নূন্যতম বয়স পুনর্বিবেচনা করে দেখতে একটি কমিটি গঠন করেছে সরকার। দেশজুড়ে চলছে সমীক্ষা। সবকিছু খতিয়ে দেখে ওই কমিটির রিপোর্ট জমা দিলেএ ব্যাপারে যথাযথ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রণালয় এই বিষয়ে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করেছে। এই কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন সমতা পার্টির প্রাক্তন সভাপতি জয়া জেটলি। ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে কেন্দ্রের কাছে সেই রিপোর্ট জমা পড়া কথা থাকলেও এখনও সেই রিপোর্ট জমা পড়েনি বলে খবর।
তবে মেয়েদের বিয়ের জন্য নতুন বয়স সীমা কত হতে পারে সে বিষয়ে কোনো ইঙ্গিত এখনো পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। এর আগে চলতি বছরের বাজেট পেশ করার সময় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এই বিষয়ে সওয়াল করেছিলেন। মাতৃত্বকালীন সময়ে মেয়েদের মৃত্যুর হার হ্রাস করতে এই বিষয়টির পুর্নবিবেচনা প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেছিলেন তিনি। মেয়েদের বিয়ের সঠিক বয়স কত হওয়া উচিত তা নির্ধারণ করার জন্য একটি টাস্কফোর্স গঠন করার কথা তিনি বলেছিলেন। এর আগে ২০১৮ সালে এই একই প্রস্তাব দিয়েছিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। তাদের যুক্তি ছিল বিয়ের ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষের বয়স সীমা অভিন্ন হওয়া উচিত।
৭৪ তম স্বাধীনতা দিবসে দেশের নারীশক্তিকে সম্মান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। চাকরি ক্ষেত্রে মহিলাদের সমান সুযোগ দদিতে তার সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ বলেও জানিয়েছেন মোদী। তার কথায়, যুদ্ধ বিমান চালানো হোক বা কয়লা খনিতে কাজ সবক্ষেত্রেই আজ পুরুষের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছেন মহিলারা। তিনি জানান ৪০ কোটি জনধন অ্যাকাউন্ট রয়েছে দেশে। তার মধ্যে ২২কোটি অ্যাকাউন্ট মহিলাদের। করোনা সংকটে এপ্রিল-মে মাসে মহিলাদের অ্যাকাউন্টে সরকার ৩০ হাজার কোটি টাকা জমা দিয়েছে বলেও জানিয়েছেন মোদী। একই সঙ্গে দেশের পাঁচ কোটি মেয়েদের হাতে এক টাকার বিনিময় স্যানিটারি ন্যাপকিন তুলে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।