বিবাহিত মহিলারা এনআরসির জন্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত, অসম ঘুরে দাবি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের

সৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা, ২৭ নভেম্বর: পরিবার উজাড় হয়ে যাচ্ছে এনআরসি আতঙ্কে। বাপের বাড়ি থেকে শ্বশুর বাড়িতে এসে কাগজপত্রের সমস্যার কারণে বাদ পড়ত় হচ্ছে মেয়েদের। মঙ্গলবার কলকাতার প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এমনটাই দাবি করলেন ওম্যান এগেনস্ট সেক্সুয়াল ভায়োলেন্স অ্যান্ড স্টেট রিপ্রেশনের মহিলা সদস্যরা।

গত ৫ থেকে ১০ নভেম্বর এরা অসমের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেরিয়েছেন। তাদের দাবি, সাধারণ মানুষ একদিকে এনআরসি আতঙ্কে ভয়ে কাঁটা হয়ে আছেন। লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে কাজকর্ম ফেলে বার বার ২০০-৩০০ কিমি যাত্রা করে সময় নষ্ট হচ্ছে। তারপরেও সামান্য কিছু কাগজপত্রের কারণে নাম বাদ যাচ্ছে। কে কার নামে কখন নাম তুলে দিচ্ছেন, বোঝা যাচ্ছে না। লোকজনকে ভুয়ো কেস দিয়ে ভয় দেখিয়ে এনআরসিতে সুবিধা আদায় করা হচ্ছে। দেশের মধ্যেই উদ্বাস্ত ঘোষণা করা হচ্ছে। ইচ্ছাকৃত ভাবেও লোকজনকে ফাঁসিয়ে কাগজ ভুল দেখানো হচ্ছে।

এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে তাদের দাবি, অবিলম্বে যাবতীয় এনআরসি প্রক্রিয়া বাতিল হোক। দেশের আর কোথাও এনআরসি যাতে না হয়। দেশে অনুপ্রবেশকারীরা কেন ঢুকছে, তার দায়িত্ব নিতে হবে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সকেই। অার ইতিমধ্যেই যারা এসে ভারতীয়দের সঙ্গে মিশে গিয়েছেন, তাদের শ্রমকে মূল্য দিয়ে নাগরিকত্ব প্রদান করে দেওয়া হোক। না হলে দেশের সার্বভৌমত্ব ক্ষুন্ন হলে তার দায় থাকবে সরকারেরই।

আপনাদের মতামত জানান

Please enter your comment!
Please enter your name here