করোনায় সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তির অ্যান্টিবডিই এই মারণ ভাইরাস আকাটানোর মহা ওষুধ! দাবি একদল চিকিৎসকের

আমাদের ভারত, ২৮ মার্চ:
বিশ্ব জুড়ে করোনা ভাইরাসের মহা তাণ্ডবের মধ্যে আশার আলো। ভাইরাসের সংক্রমণে থাবা রোখার পদ্ধতি সম্ভাবত পেয়েছেন বলে দাবি করলেন একদল চিকিৎসক। জল্পনা শুরু হয়েছে নোভেল করোনার চিকিৎসার এক নতুন পদ্ধতি নিয়ে। কলোম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ইয়ান লিপকিনের দাবি এই মারণ ভাইরাসের চিকিৎসায় ব্লাড প্লাজমা থেরাপি অত্যন্ত সহায়ক। একই সঙ্গে এই রোগকে চিরতরে নির্মূল করতেও এই পদ্ধতি সক্ষম।

তারা বলছেন, করোনা আক্রান্ত কোনো ব্যক্তি সুস্থ হয়ে ওঠার পর তার শরীর থেকে অ্যান্টিবডি নিয়ে যদি দশজন করোনা আক্রান্তদের দেহে প্লাজমা থেরাপির মাধ্যমে প্রয়োগ করা হয় তাহলে তারা প্রত্যেকেই সুস্থ হয়ে যাবেন।

বৃহস্পতিবার ফক্স নিউজের লো ববস টু নাইট শোতে গিয়ে নিজের এই নতুন চিকিৎসা পদ্ধতির কথা বলেন ডাক্তার ইয়ান লিপকিন। তিনি বলেন এই পদ্ধতির নতুন নয়। যখন বাজারে অ্যান্টিবায়োটিক ছিলনা, তখনও এই পদ্ধতির মাধ্যমে রোগ নিরাময় হতো।

করোনার ক্ষেত্রেও এই পদ্ধতিটি কাজ করলো। তিনি আশাবাদী ভবিষ্যতেও এটি ভালো কাজ করবে। ওই ডাক্তার জানিয়েছেন চলতি বছরের জানুয়ারিতে তিনি চিনে গিয়েছিলেন। সেই সময় এই চিকিৎসা পদ্ধতির কথা আলোকপাত করেছিলেন তিনিসেখানে।

ইয়ান লিপকিন বলেন, “সম্প্রতি একটি গবেষণা পত্র দেখলাম, সেখানে দেখেছি রোগীরা প্লাজমা থেরাপির সাহায্যে চিকিৎসা করাচ্ছেন। আর এই থেরাপির মাধ্যমে তারা সকলেই সুস্থ।” তিনি বলেন, জানুয়ারি শেষে তিনি চিনে গিয়েছিলেন, কারণ তার জানতে চেয়েছিলেন চিনে করোনা আক্রান্তের চিকিৎসায় চীনের ডাক্তাররা মূলত কি ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন।
লিপকিন বলেন,” সপ্তাহ খানেক আগে আমার এক বন্ধুর কাছ থেকে একটি পেপার পাই। সেই পেপারে বলা হয়েছে ১০ রোগীর প্লাজমা থেরাপির সাহায্যে চিকিৎসার কথা। ”

ডাক্তার আরও বলছেন গবেষণাতে দেখা গেছে কোন এক ব্যক্তির কাছ থেকে সংগৃহীত প্লাজমার দিয়ে মোট তিনজন রোগের চিকিৎসা সম্ভব। তবে এটি আদৌ রক্তদানের মতো সাধারণ প্রক্রিয়া নয়। তবে ভ্যাকসিন না আসা পর্যন্ত এই মারন ভাইরাস মোকাবিলায় এটি একটি কার্যকর সমাধান।

আপনাদের মতামত জানান

Please enter your comment!
Please enter your name here