
আমাদের ভারত, বাঁকুড়া, ১৯ জানুয়ারি: লোকসভা ভোটে ব্যাপক ভরাডুবির পর বাঁকুড়া জেলায় দল অনেকটাই ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছে। জেলা তৃণমূল ভবনে বাঁকুড়া জেলার তিন পৌরপ্রধান, দলীয় বিধায়ক ও দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে একথা বলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা বাঁকুড়া জেলার পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারী।
বাঁকুড়ায় ঝটিকা সফরে এসে তিনি আরও জানান, বৈঠকে আমরা কম কথা বলেছি। জেলার ২২ টি ব্লক ও ৩ টি পৌরসভার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতৃত্বদের কাছ থেকেই বেশী শুনতে চেয়েছি। ২০১৯ এর পয়লা জুন থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সাংগঠনিক রিপোর্ট যথেষ্ট আশাব্যঞ্জক জানিয়ে তিনি জানান, সমান্তরালভাবে এনআরসি বিরোধী আন্দোলন ও দিদিকে বলো কর্মসূচি চলবে।
ইতিমধ্যেই রাজ্যের ৯৪ টি পৌরসভার সঙ্গে বাঁকুড়ার তিনটি পৌরসভার ওয়ার্ড ভিত্তিক প্রার্থী পদ সংরক্ষণের খসড়া তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। শুভেন্দুবাবু জানান, এই বিষয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে বৈঠকে। পঞ্চায়েতের পদাধিকারীদের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে স্বীকার করে তিনি বলেন, সমস্যা মেটাতে আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি ত্রিস্তর পঞ্চায়েত স্তরে দলের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে আলোচনায় বসা হবে।
একই সঙ্গে লোকসভা ভোটে এই জেলায় বিপুল ভরাডুবির পর তিনটি পৌরসভা নিজেদের দখলে রাখতে মরিয়া তৃণমূল নেতৃত্ব। পাখির চোখ করে এগিয়ে যেতে চাইছেন পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারী। তিনি জানান, মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরুর আগেই বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর ও সোনামুখী পৌরসভার তিন পৌরপ্রধান নিজের নিজের এলাকায় নাগরিক সভা করবেন। যেখানে গত পাঁচ বছরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বদান্যতায় কি কি উন্নয়ন হয়েছে তার খতিয়ান সেখানে তারা তুলে ধরবেন। যেখানে মানুষ বুঝতে পারবেন আগে বিরোধীদের পরিচালিত পৌরবোর্ড ও বর্তমানে তৃণমূল পরিচালিত পৌরবোর্ডের কাজের মধ্যে ফারাক কতটা।