আমাদের ভারত, ১০ জুন: ভারতের পলাতক হীরা ব্যবসায়ী এবং পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক স্ক্যামে অভিযুক্ত মেহুল চৌকসিকে বুধবার সরকারি ভাবে ‘নিষিদ্ধ প্রবাসী’ ঘোষণা করেছে ডোমিনিকা। গত ২৫ শে মে ক্যারাবিয়ান দ্বীপের ডোমিনিকায় বেআইনি ভাবে প্রবেশের অভিযোগে সেখানকার পুলিশ গ্রেফতার করে তাকে। এই ঘটনাকে মেহুলের প্রত্যার্পনের ক্ষেত্রে সুবিধাজনক বলে মনে করছে ভারত।
প্রসঙ্গত, প্রসঙ্গত, হীরা ব্যবসায়ী মেহুল চৌকসি এবং তার স্বর্ন ব্যবসায়ী ভাইপো নীরব মোদী ২০১৮ সালে ভারতে পাঞ্জাব ন্যাশানাল ব্যাঙ্কের প্রায় ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা তছরুপের ঘটনায় অভিযুক্ত হয়। এই মামলা সামনে আসার আগেই ২০১৭ সালে তারা ভারত ছেড়ে পালিয়ে যায়। তার পর মেহুল চৌকসি ক্যারিবীয়ান দ্বীপের অ্যান্টিগুয়ার নাগরিকত্ব নিয়ে নেয়। কিন্তু ২৩মে তিনি নিখোঁজ হয়ে যান। ২ দিন পর তাকে ডোমিনিকায় দেখতে পাওয়া গেলে বেআইনি ভাবে প্রবেশের অভিযোগে গ্রেফতার করে ডোমিনিকা পুলিশ।
গ্রেপ্তারের খবর সামনে আসতেই ভারত সরকারের পক্ষ থেকে ডোমিনিকাকে আবেদন জানানো হয় যে চৌকসিকে ভারতের পলাতক নাগরিক হিসাবে বিবেচনা করা হোক এবং তাকে ভারতে প্রত্যার্পন করা হোক।
মেহুল চৌকসিকে ভারতে প্রত্যার্পনের জন্য দিল্লি থেকে পিএনবি মামলার সব নথিপত্র সহ একটি বিমান ডোমিনিকায় পাঠানো হয় বলেও জানা যায়। কিন্তু গত সপ্তাহে প্রত্যার্পনের আবেদন খারিজ করে দেয় ডোমিনিকা সরকার।
ভারতে প্রত্যার্পনের আবেদনের পর মেহুল চৌকসির আইনজীবী চৌকসিকে ভারতে প্রত্যার্পনের বিরোধিতা করে বলেন যেহেতু চৌকসি ভারতের নাগরিক নন তাই তাকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে না। তা ছাড়াও তাকে গ্রেফতার করা আইনসঙ্গত কি না, সে নিয়েও আবেদন করে তার আইনজীবী। চৌকসির আইনজীবী আরও দাবি করেন যে, মেহুলকে তাঁর তার বান্ধবী বারবারা জারাবিকা অ্যান্টিগুয়ার জলি হারবার থেকে অপহরণ করে বোটে করে ডোমিনিকা নিয়ে যায়, সে স্ব-ইচ্ছায় বেআইনি ভাবে ডোমিনিকায় প্রবেশ করেনি।