কালিয়াগঞ্জের রাধিকাপুরে মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের বাড়িতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্যরা

স্বরূপ দত্ত, উত্তর দিনাজপুর, ৩০ মে: জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্যরা কালিয়াগঞ্জের রাধিকাপুরে নিহত মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের বাড়িতে এলেন। নিহত মৃত্যুঞ্জয়ের স্ত্রী গৌরী বর্মন, দাদা মৃনাল কান্তি বর্মন এবং কাকাতো দাদা বিষ্ণু বর্মনকে দীর্ঘক্ষন জিজ্ঞাসাবাদ করে বয়ান রেকর্ড করেন মানবাধিকার কমিশনের সদস্যরা। শুধু বয়ান রেকর্ডই নয় পুরো তদন্ত প্রক্রিয়াটি ভিডিওগ্রাফি করা হয়। প্রত্যেকের বয়ান রেকর্ডের পর প্রত্যেকের কাছেই স্বাক্ষর করে নিয়েছে বলে কালিয়াগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির বিজেপি সদস্য বিষ্ণু বর্মন জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল কালিয়াগঞ্জ ব্লকের সাহেবঘাটা এলাকার গাঙ্গুয়া গ্রামের এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে উঠেছিল গোটা সাহেবঘাটা এলাকা। ঘটনার প্রতিবাদে কালিয়াগঞ্জ থানায় বিক্ষোভ দেখাতে গেলে ধুন্ধুমার কান্ড ঘটে। উত্তেজিত জনতা পুলিশকে মারধর এবং থানায় অগ্নিসংযোগ করে।

সেই ঘটনায়, গত ২৬ শে এপ্রিল রাতে বিষ্ণু বর্মনকে গ্রেফতার করতে তাঁর বাড়ি কালিয়াগঞ্জ ব্লকের রাধিকাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চাঁদগাঁ গ্রামে যায় পুলিশ। পুলিশ বিষ্ণু বর্মনকে না পেয়ে তার বাবা এবং জামাইকে গ্রেফতার করতে গেলে পরিবারের সদস্যরা সহ গ্রামবাসীরা পুলিশকে বাঁধা দেয়। পুলিশ বেগতিক দেখে গুলি চালালে মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় রাজ্য রাজনীতি উত্তাল হয়ে উঠেছিল।

সোমবার কালিয়াগঞ্জের রাধিকাপুরের চাঁদগাঁ গ্রামে পৌছয় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের টিম। সোমবার বিকেলে তিন সদস্যের এই দলটি মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়িতে পৌঁছয়। ঘটনা সম্পর্কে জানতে নিহত মৃত্যুঞ্জয়ের বাবা রবীন্দ্রনাথ বর্মন সমেত পরিবারের লোকদের সঙ্গে দীর্ঘ সময় কথা বলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের এই তদন্তকারী দলের সদস্যরা। রাতে নিহত মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় তদন্তকারী দলটি। যদিও সংবাদমাধ্যমের সামনে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি তদন্তকারী দলটির সদস্যরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *