
আমাদের ভারত, ২৮ জানুয়ারি: গ্রামীণ ব্যাঙ্কের ডিজিএম আব্দুর রশিদ খান ’থিয়েটার মঞ্চ’ শিরোনামে লিখেছেন, “ভাগ্যকূলের রায় পরিবারের জমিদারদের বাসভবনসহ অনেক স্থাপনা কীর্তিনাশা পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে। একটি হিস্যার জমিদার সীতানাথ রায়ের দুইপুত্র যথাক্রমে যদুনাথ রায় ও প্রিয়নাথ রায় চল্লিশের দশকে ভাগ্যকূলের উত্তরে বালাসুরে আড়িয়ল বিলের ভেতরে বিশাল বাড়ি ও সুরম্য অট্টালিকা নির্মাণ করেন।
সেই বাড়ির আঙিনায় প্রতিবছর মেলা বসাতেন। ছবির টিনের উপরে কাঠের ব্যালকনি সম্বিলিত এ ঘরে থিয়েটার প্রদর্শনী হতো। বৃষ্টি হলে এ ঘরে যাত্রা মঞ্চস্থ হতো। আমিও ১৯৬৪ সালে এ ঘরের ব্যালকনিতে বসে যাত্রা দেখেছি। যদুনাথ রায় ১৯৬৫ সালে এ বাড়ি ত্যাগ করার পর অনেকটা অরক্ষিত হয়ে পড়ে। ১৯৭১ সালে ঘরের কিছু বেড়া ও বেলকনির কাঠগুলো চুরি হয়ে যায়। অগ্রসর বিক্রমপুর নামে একটি সংস্থা এ বাড়িতে যাদুঘর ও রেস্টহাউজ বানিয়ে দেখাশুনা করছে।“
বাংলাদেশের আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রাক্তনী সুব্রত দাস প্রতিক্রিয়ায় লিখেছেন, “বিক্রমপুর তথা বাংলাদেশে হিন্দুদের শুধুমাত্র হিন্দু হবার দায়ে বাংলাদেশ (তৎকালীন পূর্ববঙ্গ বা পূর্ব পাকিস্তান) ছাড়তে হয়েছে বা ছাড়তে রীতিমতো বাধ্য করা হয়েছে! এসব ইতিহাসের কথা কিন্তু এখনকার বুদ্ধিজীবী সমাজ এড়িয়ে যায়!”
শাহদাত হুসেন লিখেছেন, “পদ্মা নদীতে বিলীন হচ্ছে আবার অনেক বড়ো বড়ো ঘর, দরজা প্রভাবশালীর বাড়িতে শোভা পেয়েছে। এখন নামে মাত্র কথিত হয়ে আছে তাও আবার দখল হয়ে আছে অপশক্তির কাছে।“
সূত্র— বাংলাদেশের দুস্প্রাপ্য ছবিসমূহ। সঙ্কলন— অশোক সেনগুপ্ত।