
আমাদের ভারত, পূর্ব মেদিনীপুর, ৬ জুন: তমলুক থানার পায়রাচালী গ্রামে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের রাখা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি। ঘটনাস্থলে তমলুক থানার পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
গতকাল একজন দিল্লি থেকে ও আরেকজন উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদ থেকে তমলুক থানার পায়রাচালী গ্রামের বাড়িতে ফিরে আসে। সরকারি নির্দেশ মত স্থানীয় পায়রাচালী ফ্রি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে থাকার কথা থাকলেও বিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী প্রতিবেশীরা তাতে বাধা দেয়। বাধ্য হয়ে পাশে ফাঁকা জায়গায় ত্রিপল খাটিয়ে সেখানে সারারাত কাটিয়েছে পরিযায়ী শ্রমিক দুজন। এর আগেও একই ঘটনা ঘটেছে এই বিদ্যালয়ে থাকার ক্ষেত্রে। ওই গ্রামেরই এক পরিযায়ী শ্রমিক এসেছিল মাসখানেক আগে। তাকেও ওই বিদ্যালয়ে থাকতে দেওয়া হয়নি। আজ সকালে স্থানীয় পঞ্চায়েতকে বলে স্কুলে ঢোকানো ব্যাপারে পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিবার তৎপর হলে দুই পক্ষের মধ্যে বচসা বেধে যায়।
জেলাশাসক পার্থ ঘোষ ও তমলুকের বিডিও গোবিন্দ দাসকে বিষয়টি জানানো হলে, ঘটনাস্থলে তমলুক থানার পুলিশ হাজির হয়। ঘটনাস্থলে তমলুক থানার পুলিশ এসে সামাল দিলেও উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বাইরে বেশ কিছু সময় দাঁড়িয়ে থাকতে হয় দুই পরিযায়ী শ্রমিককে। অবশেষে বেশি সংখ্যক পুলিশ বাহিনী হাজির হয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। শেষ পর্যন্ত পঞ্চায়েত সদস্য বিদ্যালয়ের চাবি খুলে দুই পরিযায়ী শ্রমিককে ভেতরে ঢোকার ও থাকার ব্যবস্থা করে দেয়।