সুশান্ত ঘোষ, আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগণা, ২৫ জুন: ভুয়ো জব কার্ড তৈরি করে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে বহিষ্কার করা হল পঞ্চায়েতের সুপারভাইজারকে। গ্রামের মানুষের দাবি, অভিযুক্তকে বহিষ্কার করে অন্য দোষীদের আড়াল করতে চাইছে প্রধান। তদন্তের দাবি জানিয়েছে গ্রামবাসীরা। উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা ব্লকের আষাড়ু গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। অভিযুক্ত পঞ্চায়েতের সুপারভাইজারের নাম বিকাশ মণ্ডল।
এমনিতেই শিক্ষাঙ্গনে নিয়োগ কেলেঙ্কারি নিয়ে ল্যাজে গোবরে অবস্থা রাজ্যের৷ এহেন আবহে এবার সামনে এল পঞ্চায়েতের কেলেঙ্কারি ও ভুয়ো জব কার্ড বানিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ৷ অভিযোগ, ১০০ দিনের প্রকল্পে সরকারি অর্থ বেনামে পকেটে ভরতে নিজের ১৩ বছরের মেয়ের নামেও ভুয়ো জব কার্ড বানিয়েছিলেন তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের সুপারভাইজার বিকাশ মণ্ডল। ইতিমধ্যে প্রশাসনিক তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চাকরি থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন অভিযুক্ত সুপার ভাইজার।
তবে গ্রামবাসীদের দাবি, শুধু ওই সুপারভাইজারকে বহিষ্কার করলে হবে না৷ এই দুর্নীতির আসল মাথাকে খুঁজে বের করতে হবে৷ একই সঙ্গে কাজের মাধ্যমে তছরূপ হওয়া টাকার সম পরিমাণ অর্থ গরিব মানুষের হাতে তুলে দেওয়ার দাবিও তুলেছেন গ্রামবাসীরা৷ তারই জেরে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে বাগদার আষাড়ু পঞ্চায়েতের চাপারুই গ্রামের৷
গ্রামবাসী অভিজিৎ মণ্ডল বলেন, “পঞ্চায়েতের অভিযুক্ত সুপারভাইজার বিকাশ মণ্ডলকে বহিষ্কার করে প্রশাসন নিজেদের দায় সারতে পারেন না৷ ভুয়ো জব কার্ড বানিয়ে কোটি কোটি টাকা তছরূপ হল সেই টাকাটা কাজের মাধ্যমে গরিব মানুষকে ফিরিয়ে দিতে হবে৷”
আর এক গ্রামবাসী নীলকন্ঠ মণ্ডল বলেন, “ওকে বহিষ্কার করে তো আমাদের কোনও লাভ নেই। এর পিছনে তো নিশ্চয়ই কোনও বড় মাথা আছে৷ তাঁকে খুঁজে বের করুক প্রশাসন৷ তবেই এই ধরণের বেনিয়ম বন্ধ করা সম্ভব হবে৷”