ইটাহার থেকে লক্ষ লক্ষ টাকার বার্মাটিক সেগুন কাঠ উদ্ধার বনবিভাগের কর্মীদের

স্বরূপ দত্ত, আমাদের ভারত, উত্তর দিনাজপুর, ৩ জুলাই: বড়সড় সাফল্য পেল রায়গঞ্জ বনবিভাগ। ‘পুষ্পা’ সিনেমার স্টাইলে পাচার করা হচ্ছিল মূল্যবান বার্মাটিক সেগুন কাঠ। ফিল্মি কায়দায় পিছু ধাওয়া করে ইটাহারে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে কাঠ বোঝাই লরিটি আটক করল রায়গঞ্জ বনবিভাগের কর্মীরা। উদ্ধার করা হল লক্ষ লক্ষ টাকার মূল্যবান বার্মাটিক সেগুন কাঠ। গ্রেফতার হয় লরির চালককে।

শিলিগড়ি থেকে হরিয়ানার নম্বরের একটি লরিতে বাঁশের টুকরোর খাঁজে খাঁজে পাচার করা হচ্ছিল অতি মূল্যবান বার্মাটিক সেগুন কাঠ। জানা গিয়েছে শিলিগুড়ির ওদিক থেকে কলকাতার দিকে পাচার করা হচ্ছিল সেগুলি। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রায়গঞ্জ বনবিভাগের আধিকারিক ও কর্মীরা প্রথমে লরিটিকে চিহ্নিত করে রায়গঞ্জ শহরের শিলিগুড়ি মোড়ে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে। কিন্তু লরি বোঝাই বাঁশের টুকরো এবং লরির ওভারলোড দেখে তাদের সন্দেহ হলে শিলিগুড়ি মোড় থেকেই পিছু ধাওয়া করে লরিটির। রায়গঞ্জ থেকে ইটাহার পর্যন্ত ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে তাড়া করে লরিটিকে টপকে জাতীয় সড়কেই আটকে দেয় বনবিভাগের অফিসাররা। এরপর শুরু করে লরিতে তল্লাশি।

বাঁশের খাঁজে খাঁজে সযত্নে লুকিয়ে রাখা বার্মাটিক সেগুন কাঠ বেড়িয়ে আসে। লরিটিকে বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে আসা হয় কর্নজোড়ায় বন বিভাগীয় আধিকারিকের দপ্তরে। গ্রেফতার করা হয়েছে লড়ির চালককে। তাকে রায়গঞ্জ থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

রায়গঞ্জ বনবিভাগের বিভাগীয় আধিকারিক কমল সরকার জানিয়েছেন, লরিতে থাকা কাগজ দেখে জানা গিয়েছে এগুলো অন্ধ্রপ্রদেশের কার্নালে সরবরাহ করা হওয়ার কথা ছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শনিবার রায়গঞ্জের শিলিগুড়ি মোড় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধার থেকে পিছু ধাওয়া করে ইটাহারের কাছে লরিটিকে আটক করা হয়েছে। লরির ভেতরে বোঝাই করা বাঁশের খাঁজে খাঁজে লুকিয়ে পাচার করা হচ্ছিল মূল্যবান বার্মাটিক সেগুন কাঠগুলো। বাজেয়াপ্ত করা বার্মাটিক সেগুন কাঠগুলির আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৪০ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা বলে জানিয়েছেন ডিএফও। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *