স্নেহাশীষ মুখার্জি, আমাদের ভারত, নদিয়া, ২৩ মে:
কল্যাণীতে এসে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি নদিয়া জেলার পর্যবেক্ষক। আজ এসেছিলেন প্রশাসনিক বৈঠক করতে। কিন্তু তাঁকে দেখেই মানুষ বিক্ষোভ দেখায়।
আমফানে নদিয়া জেলাতেও বেশ ক্ষতি হয়েছে। সেই ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখতে এবং ত্রাণের ব্যাপারে প্রশাসনিক বৈঠকে এসেছিলেন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এলাকায় তিন দিন ধরে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন এবং পানীয় জল না থাকায় তাঁকে দেখে মানুষ বিক্ষোভ দেখায়।
তিনি সাংবাদিকদের জানান, করোনা মহামারির সঙ্গে আমফান দুই চব্বিশ পরগনা, হাওড়া, কলকাতা, এবং নদিয়া বিশেষ করে কল্যাণী সাব ডিভিশন, রানাঘাট কৃষ্ণনগরে যে তান্ডব চালিয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে প্রশাসন এবং সাধারণ মানুষ এখানে সতর্ক থাকায় আমরা অনেকটা ক্ষয়ক্ষতির এড়াতে পেরেছি। তবে এই তাণ্ডবের পর কি করতে হবে তার জন্যই আমি প্রশাসনের সবার সাথে আলোচনা করলাম। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী আমাকে এখানে পাঠিয়েছেন। আমি সবার সাথে আলোচনা করে জানতে পারলাম প্রায় ৭ লক্ষ মানুষ এখানে দুর্যোগের মধ্যে পড়েছেন, বিপর্যস্ত হয়েছেন। প্রচুর কাঁচা বাড়ি ভেঙ্গে পড়েছে, প্রচুর ঘরবাড়ি ও ভেঙ্গে গেছে। সর্ষের ক্ষতি হয়েছে। চাষবাসের ক্ষতি হয়েছে। নদিয়া জেলা উন্নত জেলা। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী চাইছেন তাড়াতাড়ি কিভাবে ঘুরে দাঁড়ানো যায়। কারণ বাংলা লড়তে জানে। নদিয়া জেলাও বহুবার লড়াই করে জিতেছে। এই ঝড়ের তান্ডব থেকে আগামী দিনে আমরা ঘুরে দাঁড়াবো। আজকে আমি যেটা দেখে গেলাম তার একটা রিপোর্ট আমি মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীকে জানাব। এরপর আরো দু-চারটে পরিবারের কাছে আমি যাব, যারা বিপর্যস্ত হয়েছেন তাদের পাশে গিয়ে দাঁড়াবো তাদের সঙ্গে কথা বলব।