আমাদের ভারত, ব্যারাকপুর, ১৬ মে: প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি চালনোর ঘটনায় আহত হল ২ ব্যক্তি। ঘটনার জেরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে ব্যারাকপুর ওয়ারলেস মোড় সংলগ্ন এলাকায়। অন্যান্য দিনের মতো সোমবার দুপুরে ব্যস্ততার সঙ্গে কেনাবেচা চলছিল ব্যারাকপুর ওয়ারলেস মোড় সংলগ্ন প্রসিদ্ধ বিরিয়ানির দোকানে। সেই সময় হঠাৎ করেই ৩ জন দুষ্কৃতী বাইকে করে আসে এবং দোকানের বাইরে থেকে এলোপাথাড়ি গুলি চালায়।
সূত্রের খবর, ওই তিন দুষ্কৃতী বাইক থেকে না নেমে বাইকে বসেই ৫ রাউন্ড গুলি চালায়। এই ঘটনার জেরে দোকানে উপস্থিত দু’জন কারিগর গুলি বিদ্ধ হয়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই দুষ্কৃতীরা বাইক নিয়ে বারাসতের দিকে চম্পট দেয়। এরপর দোকানের বাকি লোকেরা গুলি বিদ্ধ প্রদীপ সিং ও রাজেশ মণ্ডল নামে দুই কর্মচারীদের উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বারাকপুরের বিএন বোস মহাকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে ভর দুপুর বেলা জনবহুল রাস্তায় ঘটা এই শুট আউটের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়। দিনে-দুপুরে প্রকাশ্যে গুলি চালানোর ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন এলাকার বাসিন্দারা। এই গুলি চালনার খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় মোহনপুর থানার পুলিশ। সেই সঙ্গে ঘটনাস্থলে আসে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের বিশাল পুলিশ বাহিনী। ওই এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে শুরু হয়েছে তদন্ত। সেই সময় দোকানে উপস্থিত ব্যক্তিদের এবং দোকানের আশপাশে থাকা ব্যক্তিদের জিজ্ঞেসাবাদ করছে পুলিশ।
এই ঘটনা সম্পর্কে দোকানের কর্মচারী বলেন, “আমরা বিরিয়ানির মশলা নিতে এসেছিলাম সেই সময় হঠাৎ করেই গুলি চলে। বাইরে থেকে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। আমাদের দুই সহ কর্মীর গুলি লেগেছে। তবে কেন এমন হলো সেটা বলতে পারবো না ।”
অপর দিকে দোকান কর্তৃপক্ষ বলেন, “আমি সেই সময় দোকানের পিছনে গিয়েছিলাম, আর তখন গুলির শব্দ শুনে ছুটে এসে দেখি আমার কর্মচারী মাটিতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। কিছু বোঝার আগেই যারা হামলা চালিয়েছিল ওরা বাইক নিয়ে পালিয়ে যায়।”
এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান ব্যারাকপুর পৌর সভার পৌর প্রধান উত্তম দাস। তবে এই ঘটনায় এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ ইতিমধ্যে ওই এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা শুরু করেছে। কে বা কারা কেন এই ঘটনা ঘটিয়েছে তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।