আমাদের ভারত, হাওড়া, ১৯ মে: মুম্বাইয়ের আইআইটি থেকে এমএসসি করতে খরচ হবে ২ লক্ষ ১০ হাজার টাকা।যেটা শুনেই অন্ধকার নেমে এসেছিল বাউড়িয়ার খাজুড়ির বাসিন্দা মেধাবী ছাত্র সাহিন সাগর মল্লিকের পরিবারে। অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের ছেলে সাহিন নিজেদের আর্থিক অক্ষমতার কথা ভেবে একসময় ভেবেছিল উচ্চশিক্ষা তার ভাগ্যে নেই। যদিও এই মেধাবী ছাত্রের পাশে এসে দাঁড়ালেন বিধায়ক ইদ্রিস আলী।মঙ্গলবার সকালে বিধায়ক নিজে এই মেধাবী ছাত্রের বাড়িতে হাজির হয়ে তার হাতে আর্থিক সাহায্য তুলে দেওয়ার পাশাপাশি এমএসসি পড়তে যা খরচ হবে সেটা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
সাহিন সর্বভারতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষা (আইআইটি জ্যাম) রসায়ণে প্রথম স্থান অধিকার করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেয়। সাধারণ নিম্নবিত্ত পরিবারের ছেলে সাহিনের বাবা জরির কাজ করেন। সুতরাং পারিবারিক আর্থিক দুরবস্থা সাহিনের উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়।সাহিনের ইচ্ছা মুম্বাইয়ের আইআইটি থেকে মাস্টার ডিগ্রি করা। যেটা ভাবিয়ে তুলেছিল সাহিনকে। অবশেষে বিধায়ক ইদ্রিস আলী তার পাশে দাঁড়ানোয় সাহিনের সঙ্কট কেটেছে হাসি ফুটেছে এই মেধাবী ছাত্রের মুখে।
খাজুড়ি বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পাস করার পর সাহিন বুড়িখালি ক্ষেত্রমোহন ইনস্টিটিউট থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে। পরে ভর্তি হয় হাওড়ার নরসিংহ দত্ত কলেজে। শুধু পড়াশোনা নয় সংসারের হাল ধরতে মাঝেমধ্যে বাবার সাথে জরির কাজও করেন সাহিন। দুই ভাইয়ের মধ্যে সাহিন বড়। সাহিনের দিদি শবনম পারভিন বলেন, ভাই
আইআইটি জ্যাম রসায়ন পরীক্ষায় প্রথম হওয়ার খবর শুনে আমরা খুব খুশি হই। আমরা চাই ভাই মুম্বাই থেকে স্নাতক স্তরে পড়াশোনা করুক। বিধায়ক যেভাবে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন আমরা তাতে আপ্লুত।
অন্যদিকে সাহিন বলেন, বিধায়ক তার পাশে দাঁড়ানোয় তার মাথা থেকে একটা বড় বোঝা নেমে গেল। একজন বিধায়ক নিজে উদ্যোগ নিয়ে এইভাবে যে একজন ছাত্রের পাশে দাঁড়াতে পারেন সেটা সে কোনদিন কল্পনা করতে পারেনি।
অপরদিকে বিধায়ক ইদ্রিস আলী জানান, মেধাবী ছাত্রের আর্থিক সমস্যার কথা শোনার পর আমি ওর সাথে যোগাযোগ করি এবং ওকে আশ্বস্ত করে ওর উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে আমি সবরকম সাহায্য করবো বলি। আর সেই মতো আজ কিছু আর্থিক সাহায্য করলাম এবং এই উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে যে অর্থ খরচ হবে সেটাও আমি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। বিধায়ক ইদ্রিস আলী বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি কোনদিনই চাননা কোন মেধাবী ছাত্রের পড়াশোনো অর্থের অভাবে বন্ধ হয়ে যাক। আর সেই কারণেই আমি এই ছাত্রের পাশে দাঁড়ালাম।