সুশান্ত ঘোষ, আমাদের ভারত, বনগাঁ, ২২ মে: প্রবল ঘূর্ণিঝড় আমফানে রাজ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত জেলা উত্তর ২৪ পরগনা। সাইক্লোনের প্রকোপে তছনছ বনগাঁ, হাবড়া, গোবরডাঙ্গা সহ বিস্তীর্ণ গ্রামগুলো। মৃত্যু হয়েছে বেশ কয়েক জনের। বিদ্যুৎ পরিষেবা এখনও পর্যন্ত অনেক এলাকায় বিচ্ছিন্ন। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত অনেক পরিবার এখনও খোলা আকাশের নিচে বাস করছে। এসব পরিবার কীভাবে আবার মাথা গোঁজার ঠাঁই গড়ে তুলবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে।
যদিও এই সময় ঘর হারা মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছেন বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। ঝড়ের পর থেকেই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলি ঘুরে দেখেন তিনি। শুক্রবার প্রায় সাড়ে চারশো ত্রিপল বিলি করেন তিনি। এদিন বনগাঁ মহকুমার আকাইপুর, সুন্দরপুর, ধরমপুকুর সহ ভবানিপুর, ঘাটবাওর এলাকায় কিছু খাদ্য সামগ্রী ও ত্রিপল বিলি করেন।
ঘরহারা বাসিন্দারদের অভিযোগ, প্রশাসনের পক্ষ থেকে খোঁজ খবর নিলেও এখনও পর্যন্ত কোনও সাহাস্য পাননি। বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস বাড়ি বাড়ি এসে কিছু খাবার ও ত্রিপল দিয়ে গিয়েছেন, এছাড়া কিছুই পাননি। আকাইপুরের বাসিন্দা অজিত সাঁতরা বলেন, মাঠের জমির ফসল যে ভাবে নষ্ট হয়েছে সেই ক্ষতি কিভাবে পূরণ হবে! ঋণ নিয়ে চাষ করা, কি করে এই ধার শোধ করব।
বিশ্বজিৎ বাবু বলেন, বনগাঁ সহ আশপাশের গ্রাম গুলি যে ভাবে ক্ষতি হয়েছে তা পূরণ করতে বছর কাটবে। আমি সাময়িক ভাবে যতটুকু মানুষের সাহায্য করতে পেরেছি করছি। যদিও নিরপেক্ষ ভাবে বিডিও সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি কমিটি তৈরি করে এলাকা পরিদর্শনের কাজ শুরু করে দিয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্তরা যাতে সরকারি সাহায্য পায় তা দেখব।