আমাদের ভারত, ২২ ডিসেম্বর:প্রায় ৫৬ বছর পর দেশের কোন প্রধানমন্ত্রী আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় কোন অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন। ১৯৬৪ সালে লাল বাহাদুর শাস্ত্রী শেষবার আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। এরপর দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদী আবার আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন আজ। এদিনের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি দাবি করেছেন ভারতে ধর্মের বিভেদ নেই। দেশের উন্নয়নে ধর্মের ভেদাভেদ আমল পায়নি কখনো।
ধর্মের নামে এদেশে কোনো সুযোগ-সুবিধা থেকে কোন মানুষকে বঞ্চিত করা হবে না।
মোদী বলেন, সবকা সাথ,সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস স্লোগানকে পাথেয় করেই এগিয়ে চলেছে দেশ। মোদীর কথায়, “ধর্ম সমাজের একটি অংশ তবে একমাত্র দিক নয়। ভারতবর্ষের উন্নতিতে বেশ কিছু অশুভ শক্তি বাধা দিচ্ছে। কিন্তু বরাবরই আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় আধুনিক মুসলিম সমাজ গঠনের কাজ করেছে। আমাদের সরকার তিন তালাক প্রথা বাতিল করে সেই আধুনিক মুসলিম সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে।”
মোদী বলেন, কেন্দ্র সরকার এখন মুসলিম মহিলাদের শিক্ষায় নজর দিয়েছে। গত ৬ বছরে ১ কোটি মুসলিম মহিলাকে বৃত্তি দিয়েছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারাবিশ্ব এখন ভারতের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। দেশের প্রতিটি নাগরিক নিজের সাংবিধানিক অধিকার পাওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত এবং নিশ্চিন্ত। উজ্জ্বলা যোজনা গ্যাস দেশের সব ধর্মের মানুষের কাছে পৌঁছেছে। করোনার মতো মহামারীতে সরকারের দেওয়া খাদ্যশস্য পৌঁছেছে সব ধর্মের মানুষের কাছে। এদেশে ধর্মের ভিত্তিতে মানুষের মধ্যে বিভেদ হয় না। তাই ধর্মের বিভেদ ভুলে দেশের উন্নতিতে সব নাগরিককে নিজের অবদান রাখতে হবে। ভারতের সৌন্দর্য ও ব্যাপ্তিকে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে তুলে ধরায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রীর কর্তব্য। সকলকে দেশের প্রতি কর্তব্য পালন করতে হবে একই সাথে নিজেদের সম্মান বৃদ্ধি করতে হবে।