আমাদের ভারত,২৭ সেপ্টেম্বর: সম্প্রতি সংসদের উভয় কক্ষে পাশ হওয়া কৃষি বিল নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়েছে সারাদেশে। এই বিলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। তাদের দাবি কেন্দ্র সরকারের নতুন কৃষি বিল কৃষকদের লাভের থেকে ক্ষতি করবে বেশি।পাঞ্জাব, হরিয়ানা সহ দেশের একাধিক রাজ্যে কয়েক লাখ কৃষক এই বিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গেও এই বিলের বিরোধিতা রাস্তায় নেমেছে কৃষকরা। বিজেপি সরকারের এই বিলকে কৃষক বিরোধী বলে আখ্যা দিয়েছে তৃণমূল।কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রথম থেকেই বলে আসছেন এই বিলের কারণে কৃষকদের ভাগ্য ফিরবে। বন্ধন মুক্ত হবেন তারা। রবিবার “মন কি বাত” অনুষ্ঠানেও প্রধানমন্ত্রী কৃষি বিলের উপকারিতা আবার একবার বোঝালেন তাও আবার গল্পের ছলে।
দেশবাসীর উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন,” আপনারা এবার থেকে গল্প বলা শুরু করুন। আমাদের দেশে গল্প বলার সংস্কৃতিক বহু পুরনো। অথচ এই সংস্কৃতি শেষ হতে বসেছে।” এরপরে প্রধানমন্ত্রী গল্প বলার উপকারিতার উল্লেখ করেন। তারপর তিনি ঢোকেন গুরুত্বপূর্ণ প্রসঙ্গে। তিনি বলেন, করোনার মতো পরিস্থিতিতে কৃষকরাই দেশকে শক্তি দিয়েছে। যে কোনো কঠিন সময়ে কৃষকদের জন্যেই দেশের অগ্রগতির চাকা ঘুরেছে।
কৃষকরাই আমাদের দেশের আত্মনির্ভর হয়ে ওঠার মূল আধার। এই প্রসঙ্গে তিনি হরিয়ানার এক কৃষক পরিবারের উদাহরণ দেন। তিনি বলেন, কৃষকরা সরাসরি ফসল বিক্রি করতে পারবেন এর থেকে বড় সুযোগ আর কি বা হতে পারে? খোলা বাজারে নিজেদের ইচ্ছেমত দামে সবজি বিক্রি করতে পারবেন তারা। এমনকি ফাইভ স্টার হোটেল, রিটেল ব্যবসায় চাষিরা সরাসরি শাক-সবজি-ফলমূল বিক্রির সুযোগ পাচ্ছেন। এর ফলে চাষী ও ক্রেতার মাঝে মধ্যসত্ত্বাভোগীদের উপদ্রুপ কমবে।
আগামী ২৮শে সেপ্টেম্বর শহীদ ভগৎ সিং-এর জন্মদিনের কথাও উল্লেখ করেন তিনি। এছাড়াও চার বছর আগে পাকিস্তানের সার্জিকাল স্ট্রাইকের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন মোদী। সবশেষে করোনা মোকাবেলায় দো গজ কি দুরির প্রয়োজনীয়তাকেও আবার প্রাধান্য দিয়ে তুলে ধরে নিজের বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী।