আমাদের ভারত, ১৬ সেপ্টেম্বর: বৃহস্পতিবার দিল্লিতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের নতুন অফিস উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর এই অনুষ্ঠানেই সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের বিরোধিতা করার জন্য বিরোধীদের তীব্র সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। এই প্রকল্পে খরচ হবে কুড়ি হাজার কোটি টাকা। এতে তৈরি হবে নতুন সংসদ ভবন ও কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক অফিস। নতুন করে গড়ে তোলা হবে নর্থ ব্লক, সাউথ ব্লক।
আজ মোদী বলেন, যারা এই প্রকল্পের বিরোধিতা করেছেন তাদের কোনো ব্যক্তিগত স্বার্থ আছে। কেন্দ্রীয় সরকারের অফিসগুলি বর্তমানে যে অবস্থায় পড়ে রয়েছে তা নিয়ে তাদের বিন্দুমাত্র মাথাব্যথা নেই। মোদীর কথায়, “আমরা সকলেই দেখেছি কিভাবে কিছু লোক সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পকে অন্তর্ঘাত করতে চেয়েছেন। ব্যক্তিগত স্বার্থে তারা ভুল তথ্য ছড়িয়েছেন। মন্ত্রীরা এখন কি অবস্থায় কাজ করেন সে কথা তারা বলছেন না। তারা একবারও প্রতিরক্ষা দপ্তরের অবস্থার কথা উল্লেখ করছেন না। সমালোচকরা যদি প্রতিরক্ষা দপ্তরের অফিসগুলি কথা উল্লেখ করে তাহলে তাদের মিথ্যে ধরা পড়ে যাবে।
গত মে মাসে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, সেন্ট্রাল ভিস্তার নামে বিপুল অর্থ ব্যয় করা অপরাধ। সেই অর্থ অতিমারীর কাজে লাগানো দরকার। তার দাবি ছিল, এই প্রকল্প নির্মাণের টাকা খরচ না করে দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোকে আরো উন্নত করা হোক। এই প্রকল্পকে অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা বলে ঘোষণা করারও সমালোচনা করেছিল কংগ্রেস। অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা হওয়ার কারণে লকডাউনের মধ্যেও ওই প্রকল্পের কাজ চলেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন,”সেন্ট্রাল দিল্লির কস্তুরবা মার্গ, আফ্রিকা অ্যাভেনিউতে প্রতিরক্ষা দপ্তরের দুটি কমপ্লেক্স তৈরী করা হয়েছে। সেখানে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ৭ হাজার কর্মী থাকতে পারবেন। কেন্দ্রীয় সরকার দেশের সশস্ত্র বাহিনীকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়। এর আগে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অফিস ছিল ৫০ একর জুড়ে। সেই অফিসগুলোকে এক্সিকিউটিভ হিসেবে গড়ে তোলা হবে। আশ্চর্যের ব্যাপার হলো সেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় থেকে এতদিন পর্যন্ত প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অফিস একই জায়গায় ছিল। একসময় ঘোড়ার আস্তাবল হিসেবে এই কাঠামোগুলি তৈরি হয়। আমি বরাবর ভাবতাম এই ভাঙ্গাচোরা বিল্ডিংয়ে প্রতিরক্ষার মত একটা গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর অফিসকা ভাবে থাকতে পারে?”