আমাদের ভারত, ১২ জানুয়ারি:বিবেকানন্দের ১৫৮ তম জন্ম তিথিতে ন্যাশনাল ইয়ুথ পার্লামেন্টে ভার্চুয়ালি জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী। এদিনের বক্তব্যে তিনি নতুন প্রজন্মকে রাজনীতিতে আসার আহ্বান জানান । একইসঙ্গে মোদী আবারোও একবার নতুন জাতীয় শিক্ষানীতির প্রয়োজনীয়তাকে তুলে ধরেন। তিনি দাবি করেছেন ব্যক্তি নির্মাণের জোর দিয়েছে এই নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি। মোদী বলেন, প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ব্যক্তি গড়েছেন স্বামীজি। প্রজন্মের পর প্রজন্মকে প্রেরণা যুগিয়েছেন স্বামীজি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, উন্নত প্রতিষ্ঠান দেশে উন্নত চিন্তা ধারার জন্ম দেয়। স্বামীজীর দর্শন দেশকে প্রেরণা জোগায়। এখন ভারতকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছি আমরা, সেটাকে কাজে লাগাতে হবে। আত্মনির্ভর ভারত গড়তে হবে। তিনি নতুন প্রজন্মকে রাজনীতিতে আসার আহ্বান জানান। তিনি বলেন রাজনীতিতে নতুন প্রজন্মের প্রয়োজন। কারণ তাহলেই সেখানে নতুন ধারণা আসবে। আগে ধারণা ছিল রাজনীতিতে এসেছে মানে সে খারাপ। কিন্তু সেই ধারণা বদলের প্রয়োজন, বদলেছেও। এখন নতুন প্রজন্মকে রাজনীতিতে দেখা যাচ্ছে। যুবরাই দেশকে নেতৃত্ব দেবে। কারণ এখন একজন জনপ্রতিনিধিও জানেন রাজনীতিতে দাঁড়াতে গেলে তার সিভি যথেষ্ট স্ট্রং হতে হবে। সে কি কি কাজ করেছে তা খতিয়ে দেখবে সাধারন মানুষ।
মোদি আরো বলেন কী পাবেন তা না ভেবে কী কাজ করবেন সেই লক্ষ্য নিয়ে রাজনীতিতে আসুক নতুন প্রজন্ম। তা না হলে লোকতন্ত্র দুর্বল হয়ে যাবে। রাজনীতিতে এগিয়ে আসতে হবে যুবদের।
স্বামী বিবেকানন্দ কে স্মরণ করে তিনি বলেন স্বামীজী আধ্যাত্মিকতা, দেশ গঠন ও জনসেবার যে কথা বলেছেন তা আজকেও দেশবাসীর মনে সদা জাগ্রত। কিভাবে একজন আদর্শ মানুষ হয়ে গড়ে তুলতে হয়, কিভাবে একটি আদর্শ প্রতিষ্ঠান চলতে পারে তার উদাহরণ তৈরি করে গেছেন তিনি। মোদী বলেন, সময় চলে গিয়েছে দেশ স্বাধীন হয়েছে কিন্তু এত বছর পরেও স্বামীজীর প্রভাব একইরকম রয়েছে সমাজের বুকে।