আমাদের ভারত, ২৪ এপ্রিল : করোনা মোকাবিলায় চলছে লকডাউন। তারমধ্যে জাতীয় পঞ্চায়েত রাজ দিবসে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পঞ্চায়েত প্রধানদের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী। আহ্বান জানান পঞ্চায়েত ব্যবস্থাকে আরো শক্তিশালী করতে হবে। তবে পঞ্চায়েত রাজ দিবসে তার অন্যতম বার্তা যেকোনো সংকটের একমাত্র অস্ত্র নিজের উপর আস্থা রাখা বা আত্মনির্ভরশীলতা। তিনি বলেন এই শিক্ষাই আমাদের করোনা সংকট দিয়েছে।
এদিন দেশের একাধিক প্রান্তের পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন মোদী। তারা কিভাবে করোনা ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করছেন তাও শোনেন তিনি। ভাইরাসের মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। একইসঙ্গে গ্রামীণ পরিকাঠামো উন্নয়নের জোর দিতে গ্রাম স্বরাজ ও সম্ভিতা যোজনার সূচনা করেন নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, “করোনাভাইরাস আমাদের বড় পরীক্ষার মুখে ফেলেছে। কিন্তু আমরা সব সময় পরিস্থিতি থেকে শিক্ষা নিয়েছি। কিভাবে আমরা কোন সংকটের মোকাবিলা করব সেটা ভাবতে শিখিয়েছে। করোনা স্পষ্ট ভাবে শিক্ষা দিয়েছে বেঁচে থাকার জন্য আমাদের নিজেদের ওপর আস্থা রাখতে হবে।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “শহর হোক কিংবা গ্রাম দৈনন্দিন জীবনে অন্য কারোর উপর নির্ভরশীল নয়। স্বনির্ভর হওয়া উচিত আমাদের।”এদিন প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে উঠে এসেছে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ইউরোপ-আমেরিকার তুলনায় ভারতে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। এই বিষয়ে সারা বিশ্বে ভারত প্রশংসা কুড়িয়েছে। তবে তার কৃতিত্ব তিনি দেশবাসীকে দিয়েছেন। তার মতে সারা দেশ বিশেষ করে গ্রামবাসী যেভাবে লকডাউনের নিয়ম-কানুন মেনে চলেছেন তাতে এই মহামারীর সংকট থেকে মুক্ত হবেই ভারত।
তিনি বলেন, সারা বিশ্বের কাছে দৃষ্টান্ত ভারত। এই ভয়াবহ মহামারীতে ভারতীয়রা সীমিত ক্ষমতার মাধ্যমে তার কাছে আত্মসমর্পণ করার বদলে টক্কয দিয়েছে। সমস্যা আসছে, প্রতিবন্ধকতা আসছে কিন্তু প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ভারতবাসী দেখিয়েছে দেশকে বাঁচানো এবং এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ চলছে।
গ্রামের মানুষের উদ্দেশ্যে মোদী বলেন,” গ্রামবাসীকে প্রণাম করি। দুনিয়াকে খুব সহজ শব্দের আপনারা মন্ত্র দিয়েছেন। খুব সহজ-সরল শব্দে বলেছেন দু-গজ দূরে থাকুন।”
গ্রামের মানুষ খুব বড় কাজ করেছেন যে কোন ধরনের সংক্রমণ থেকে নিজেদের বাঁচিয়েছেন। তিনি বলেন, গ্রাম পঞ্চায়েত কে শক্তিশালী করতে হবে পঞ্চায়েত ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে হবে। গ্রামীণ পরিকাঠামোকে উন্নত করতে হবে। করোনা মোকাবিলা গ্রামবাসীর পরামর্শ চেয়েছেন। তিনি বলেন, করোনা মোকাবিলা যখন দেশবাসীর কাছে কঠিন মনে হয়েছে তখন গ্রামের মানুষ দেখিয়ে দিয়েছে কোন কিছুই কঠিন নয়।