
আমাদের ভারত, ৩১ জানুয়ারি: ভারত জোড়ো যাত্রার সমাপ্তি অনুষ্ঠানের আগে বরফ নিয়ে খেলতে দেখা গিয়েছিল রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে। তাদের বরফ নিয়ে খেলার ভিডিও ভাইরাল হতেই তীব্র কটাক্ষ করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। তাঁর কথায় কাশ্মীরে গিয়ে পিকনিক করছিলেন কংগ্রেস সাংসদ, অথচ কাশ্মীরে অশান্ত পরিস্থিতির মধ্যেই লালচকে পতাকা উত্তোলন করেছিল বিজেপি। সেখানে এখন শান্তিপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করার জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদীকে ধন্যবাদ দেওয়া উচিত ছিল তাদের।
সোমবার ভারত জোড়ো যাত্রা শেষে বরফ নিয়ে খেলতে শুরু করেন ভাই- বোন। সেই ভিডিও ভাইরাল হয় মুহূর্তের মধ্যে। তারপরই তাদের সঙ্গে খেলায় মাতেন কংগ্রেস নেতা ও নিরাপত্তা কর্মীরা। এই ঘটনার পরেই মুখ খোলেন অনুরাগ ঠাকুর। কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রী বলেন, “রাহুল ও পরে প্রিয়াঙ্কা বরফের বল বানিয়ে খেলছিলেন তাদের দেখে মনে হল পিকনিক করতে গিয়েছিলেন। এই কারণেই প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানানো উচিত ছিল। কিন্তু তারা ভুলে গিয়েছেন।”
বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে যে ৩৭০ ধারা বিলোপের পরেই কাশ্মীরে শান্তি ফিরেছে। সেই কারণেই নির্ভয়ে যাত্রা করতে পারছেন রাহুল। কিন্তু ১৯৯২ সালের একতা যাত্রা শেষে সাধারণতন্ত্র দিবসে লালচকে পতাকা উত্তোলন করেছিল বিজেপি। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। সেই ঘটনা মনে করিয়ে অনুরাগ বলেছেন, “বোমা আর বন্দুকের মাঝে পতাকা উত্তোলন করেছিল বিজেপি। তখন বরফ নিয়ে খেলার মতো পরিস্থিতি ছিল না। কিন্তু বিজেপি সরকারের আমলে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়া হয়েছে বলেই আজ কাশ্মীর স্বাভাবিক।” এই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে রাহুল গান্ধীর কাছে অনুরাগ প্রশ্ন করেন, কাশ্মীরে ৪৫ হাজার মানুষের মৃত্যুর দায় কে নেবে?
কাশ্মীরে তেরেঙ্গা উত্তোলন করতে গিয়ে নিজের অভিজ্ঞতার কথা বলেছেন অনুরাগ। ২০১১ সালে কাশ্মীরের তেরঙ্গা যাত্রা করতে গিয়ে তাকে জেলে বন্দী করা হয়েছিল। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বলেছিলেন, জাতীয় পতাকা উত্তোলন করলে যদি পরিস্থিতি অশান্ত হয়ে ওঠে তাহলে অনুরাগ ঠাকুরের এই কাজ করা উচিত নয়। অনুরাগ ঠাকুরের মতে, রবিবার লালচকে রাহুল গান্ধীর পতাকা তোলা নিয়ে কোনো সমস্যাই হয়নি সেজন্যই ধন্যবাদ প্রাপ্য নরেন্দ্র মোদীর।