সিএএ বিক্ষোভের মধ্যে এসে বিক্ষোভের মধ্যেই বিদায় মোদির, স্বস্তি পুলিশের

সৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা, ১২ জানুয়ারি: শনিবারের পর রবিবার সকাল থেকেও উত্তাল রইল শহর। শহরের প্রাণকেন্দ্র ধর্মতলাতে শনিবার বিক্ষোভ করার পর রবিবার সকাল থেকেও ফের বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে বাম ছাত্র যুবরা। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম এর ভিদেও কালো পতাকা দেখিয়েছিল বেলুন উড়িয়ে বিক্ষোভ দেখান বেশকিছু কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা। পরিস্থিতি সামলাতে বেশ ভালই বেগ পেতে হয় পুলিশকে। তবে প্রধানমন্ত্রী কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বিমানে উঠে যাওয়ার পর পরই ম্যাজিকের মতো সারা শহর থেকে ভ্যানিশ মোদি বিরোধী স্লোগান এবং বিক্ষোভ। ফলে স্বস্তিতে হাঁফ ছেড়ে যেন বাঁচল পুলিশ।

প্রধানমন্ত্রীর ২১ ঘণ্টার কলকাতা সফরে সি এ এ বিরোধী বিক্ষোভ মিছিল শেষে কলকাতা এবং বিধান নগর পুলিশের প্রধান চ্যালেঞ্জ হবে, তা আগে থেকে পরিষ্কার বুঝে গিয়েছিলেন পুলিশ কর্তারা সেইমতো কলকাতা ও বিধান নগর পুলিশ। তাই যৌথ সমন্বয়ে প্রধানমন্ত্রীর যাত্রাপথ নির্বিঘ্নে পার করানোর ব্লু প্রিন্ট তৈরি হয়ে গেছিল। আর সব শেষে এত বিক্ষোভের মধ্যেও প্রধানমন্ত্রীকে নির্বিঘ্নে সমস্ত অনুষ্ঠানে যোগদানের সুযোগ এবং যাবতীয় অনুষ্ঠান ঠিকঠাক সম্পন্ন হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীকে নিশ্চিন্তে বিমানে তুলে দেওয়ার পর নিজেদের অ্যাসিড টেস্ট যে বেশ ভালোভাবেই উতরে গিয়েছে, এমনটাই বলছেন পুলিশ আধিকারিকরা।

এদিন বেলা পৌনে ১২ টা নাগাদ আন্দোলনকারীদের একটি দল ডোরিনা ক্রসিং থেকে ধর্মতলার দিকে চলে যায়। সেখান থেকে তারা গান্ধী মূর্তির পাদদেশে যেতে চায়। কিন্তু পুলিশ তাদেরকে ধর্মতলায় আটকে দেয়। চারিদিকে ছিল পুলিশের কড়া বেষ্টনী। আন্দোলনকারীরা বাধা পেয়ে ধর্মতলায় রাস্তার ওপরেই বসে পড়েন। ফলে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে শহরের প্রাণকেন্দ্র। এদিকে রবিবার সকাল ১১ টায় নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী। তার আগে বিক্ষোভকারীরা নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম এর কাছাকাছি পৌঁছানোর চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। সে সময় বিক্ষোভকারীদের হাতে ছিল কালো বেলুন, কালো পতাকা এবং মোদী গো ব্ল্যাক লেখা প্লাকার্ড।

শহরের প্রাণকেন্দ্র অবরুদ্ধ থাকার পরে বিক্ষোভকারীরা সেখান থেকে তাদের অবস্থান বিক্ষোভ তুলে নেন। ততক্ষণে মোদী রেসকোর্স ময়দান থেকে চপারে চড়ে দমদম বিমানবন্দরে পৌঁছে গিয়েছেন। আর তারপরেই সোজা দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে যান প্রধানমন্ত্রী।।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *