পরীক্ষা পে চর্চায় বোর্ড পরীক্ষার্থীদের সাজশেন দেবেন মোদী, নির্দেশ মতো প্রস্তুতি নিতে শুরু করল রাজ্য বিজেপি

আমাদের ভারত, ৯ জানুয়ারি: পরীক্ষা পে চর্চা কর্মসূচি ২০১৮ থেকে হয়ে আসছে। প্রতি বছর মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক সহ সব বোর্ডের পরীক্ষার্থীদের সাজেশন দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার সেই কর্মসূচি হবে প্রজাতন্ত্র দিবসের পরের দিন। ২৬ শে জানুয়ারি সরস্বতী পূজা হওয়ায় বাংলায় পরের দিনটি ছুটি থাকে। সেই দিনই ভার্চুয়াল মাধ্যমে বেলা ১১ টা থেকে শুরু হবে ছাত্র ছাত্রীদের মোদীর পরামর্শ দেওয়ার কর্মসূচি পরীক্ষা পে চর্চা।এই কর্মসূচি সফল করতে রাজ্য বিজেপির কাছে ইতিমধ্যে নির্দেশ এসে গেছে। তার জন্য প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে।

২০২৩ সালের পরীক্ষা পে চর্চা কর্মসূচিতে নতুন কিছু বিষয় ঢোকানো হয়েছে। পরীক্ষাকে কি ভাবে দেখা উচিত? পরীক্ষার সময় পড়ুয়া এবং অভিভাবকদের কি কি করা উচিত? সেই বিষয়ে একটি বইও লিখেছেন মোদী। বইটির নাম “এক্সাম ওয়ারিয়র্স”। সেই বইতে পরীক্ষাকে খুব চিন্তার বিষয় না করে উৎসবের মতো করে দেখার পরামর্শ দিয়েছেন মোদী।

অতীতে এই রকম অনুষ্ঠানে তার বক্তব্যে বারবার উঠে এসেছে পরীক্ষা নিয়ে ভয় দূর করার বিভিন্ন কথা। তাতে অনেক মনীষীর উদাহরণও দিতে দেখা গিয়েছে তাকে। নিজের বইতে পরীক্ষা নিয়ে পড়ুয়াদের জন্য ২৮ টি উপদেশ এবং অভিভাবকদের জন্য ছটি উপদেশের উল্লেখ করেছেন তিনি।

বিজেপি সূত্র জানা গিয়েছে, শুধু পড়ুয়া বা অভিভাবক নয় আগামী ২৭ তারিখ শিক্ষকদেরও পরীক্ষার বিষয়ে পরামর্শ দিতে চান প্রধানমন্ত্রী। রাজ্য বিজেপির কাছে দিল্লির নির্দেশ যত বেশি সম্ভব স্কুলে বড় স্ক্রিন লাগিয়ে অনুষ্ঠান সম্প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে।

ইতিমধ্যে একাধিক বেসরকারি স্কুলের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে রাজ্য বিজেপি। কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ স্কুলগুলিতে এই কর্মসূচি সফল করার ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন জেলা শহরে কোনো মাঠ বা অন্যত্র এক ঘণ্টার এই অনুষ্ঠান দেখানো যায় কিনা তাও ভাবা হচ্ছে। সর্বত্র নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির কমপক্ষে ৫০০ জন পড়ুয়াকে উপস্থিত রাখার পরিকল্পনা রয়েছে। কেন্দ্রীয় বিজেপির তরফে রাজ্যকে বলা হয়েছে প্রতিটি জায়গায় যাতে সংসদ বিধায়ক অন্যান্য জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকতে পারেন সেটা নিশ্চিত করতে হবে।কেন্দ্রীয় বিজেপি এর জন্য রাজ্য স্তরে তিনজনের কমিটি তৈরি করতে বলেছে। ইতিমধ্যেই সে কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। রাজ্যের কমিটির মাথায় রয়েছেন দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা।

এ কর্মসূচির আগাম প্রচারের জন্য ২০ জানুয়ারি রাজ্যে জুড়ে পরীক্ষার্থীদের নিয়ে অঙ্কন ও কলা প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে বলা হয়েছে।সফলদের সার্টিফিকেট দেওয়ার পাশাপাশি জেলা স্তরের এই প্রতিযোগিতা কেমন হলো কারা পুরস্কার পেলেন সেসব তথ্য ও ছবি অ্যাপে আপলোড করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে মোদীর লেখা “এক্সাম ওয়ারিয়ার্স” বইটিও বিলি করতে বলা হয়েছে।

আপনাদের মতামত জানান

Please enter your comment!
Please enter your name here