
আমাদের ভারত, জলপাইগুড়ি, ২৮ মার্চ: রাজগঞ্জের নাকুগছে এক যুবতীকে খুন করে পুকুরে ফেলে দেওয়ার ঘটনায় ধৃত স্বামী। অভিযুক্তের বয়ান অনুযায়ী সেই পুকুরে মঙ্গলবার তল্লাশি চালিয়ে যুবতীর ওড়না ও মোবাইল উদ্ধার করলো পুলিশ।
জানা গিয়েছে, সন্ন্যাসীকাটার নাকুগছের ২৫ বছরের যুবতী নাছিমা খাতুনের সঙ্গে জলপাইগুড়ির কোতোয়ালি থানার শোভাগঞ্জের যুবক মমিনুল ইসলামের প্রায় দশ মাস আগে মোহর হয়। মাঝেমধ্যেই শ্বশুর বাড়িতে এসে স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করত মমিনুল। গত ২৩ মার্চ গভীর রাতে নাছিমার বাড়ির পাশের পুকুর থেকে রহস্যজনকভাবে মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। মৃতদেহের একটা অংশ জলে ও অন্য অংশ ডাঙ্গায় থাকায় মৃত্যু নিয়ে সকলের সন্দেহ হয়। যুবতীর পরিবারের লিখিত অভিযোগ পেয়ে ওই যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রবিবার ধৃতকে জলপাইগুড়ি আদালতে তোলা হলে ৬ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে দেওয়া হয়।
পুলিশি জেরায় অভিযুক্ত তার স্ত্রীকে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে খুন করার কথা স্বীকার করে। এদিন পাম্প মেশিনের সাহায্যে জল তোলার পর পুকুর থেকে ওড়না ও মোবাইল উদ্ধার হয়। যুবতীর ভাই মনোয়ার হোসেন বলেন, জামাইবাবু দিদিকে খুন করেছে। আমরা অভিযুক্তের ফাঁসি চাই।”