
সৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা , ১৩ মার্চ: স্বামীর অনুপস্থিতিতে এলাকারই আরেক ব্যক্তির সঙ্গে মাঝেমধ্যে সময় কাটাতেন আনন্দপুরে নোনাডাঙার বাসিন্দা তপতী দাস। কিন্তু পরে এই বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক সামলাতে না পারার ফলে বৃহস্পতিবার রাতে ঘটে গেল চরম ঘটনা। অভিযোগ, বেপরোয়া ওই ব্যক্তিকে আটকাতে গিয়ে রীতিমতো হাতাহাতি ও মারপিটে জড়িয়ে পড়েন তপতী দাস এবং তার ছেলে সৌম্যজিত দাস। বাঁশ, ইট পাথরের আঘাতে রীতিমতো আহত হয়ে পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় সুজিত বিশ্বাস (৩৫) নামে ব্যক্তির। এই ঘটনায় মা তপতী দাসকে গ্রেফতার করা হলেও ছেলে এখনো পলাতক।
পুলিশ সূত্রে খবর, বাড়িতে একাই থাকতেন সুজিত। পুলিশকে তপতী জানিয়েছেন, স্বামীর কর্মসূত্রে তাকে খুব একটা বেশি সময় দিতেন না। তাই স্থানীয় ওই ব্যক্তি সুজিতের সঙ্গে তার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সুজিত মাঝেমাঝে তপতীর বাড়িতে আসতেন, এমনকি তপতীও মাঝে মধ্যে সুজিতের বাড়িতে যেতেন। কিন্তু তপতী এই সম্পর্ক নিয়ে বেশি কিছু ভাবেন নি।
কিন্তু বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের পরকীয়ার স্বাদে ক্রমশ বেপোরোয়া হয়ে ওঠে সুজিত। বৃহস্পতিবার রাতে সে তপতীর বাড়িতে আসে। তারপর ওই মহিলার সঙ্গে কোনও বিষয় নিয়ে জোর জবরদস্তি করতে থাকে। দুজনের মধ্যে এ নিয়ে তুমুল ঝগড়া হয় এবং রাগের মাথায় তপতীর বাড়ির উনুন ভেঙে দেয় সুজিত। এদিকে মাকে হেনস্থা হতে দেখে এগিয়ে আসে ছেলে সৌম্যজিৎ। এরপর মা এবং ছেলে দুজনে মিলে বাঁশ ইট পাথর দিয়ে প্রবল মারধর করতে থাকে সুজিত কে। ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে স্থানীয় মানুষজন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসা আনন্দপুর থানার পুলিশও।
এদিকে পরিস্থিতি দেখে পালিয়ে যায় ছেলে সৌম্যজিৎ। কিন্তু পালাতে পারেননি মা তপতী দাস। পুলিশ এলে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। অন্যদিকে সুজিত বিশ্বাস কে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দা তথা প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগের ভিত্তিতে মা এবং ছেলের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগে মামলা দায়ের করে পুলিশ। ছেলের সন্ধানে শুরু হয়েছে তল্লাশি।