চিন্ময় ভট্টাচার্য, আমাদের ভারত, ১০ জুন: করোনার লকডাউনে বন্দি কুমোরটুলি। পরপর স্টুডিও বন্ধ। গালে হাত দিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার অপেক্ষায় প্রতিমাশিল্পীরা। এই পরিস্থিতিতে কুমোরটুলিকে আশার আলো দেখাচ্ছে বিদেশ থেকে পাওয়া দুর্গাপ্রতিমার বরাত।
কুমোরটুলি থেকে বুধবারই ক্যাঙ্গারুর দেশ অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি দিলেন মা দুর্গা। কুমোরটুলির পটুয়াপাড়ার আরও এক দুর্গাপ্রতিমা এখন অপেক্ষায় ট্রাম্পের দেশে যাওয়ার জন্য। এতে আশার আলো বুনছে করোনা আবহে বন্ধ থাকা কুমোরটুলির একের পর এক স্টুডিও। আনলক পর্ব শুরু হতেই ভাগ্য ফিরতে শুরু করেছে বলেই মনে করছেন এখানকার প্রতিমা শিল্পীরা। প্রত্যেক বছর এই সময়টায় কুমোরটুলিতে ব্যস্ততার অন্ত থাকে না। সামনেই দুর্গাপুজো। এতদিনে বিভিন্ন ছোট থেকে বড় পুজোকমিটি প্রতিমার বায়না করে পর্যন্ত চলে যায়। কিন্তু, এবার ব্যাপারটা চেনা ছকে হাঁটেনি। তাই এতদিন টানা লকডাউনে কার্যত বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন কুমোরটুলির শিল্পী ও তাঁদের পরিবারের লোকজন। সেই অন্ধকার থেকেই যেন একটু আলোর দিশা দেখা গিয়েছে শিল্পী কৌশিক ঘোষের দেবী দুর্গার মূর্তি ক্যাঙারুর দেশে পাড়ি জমানোয়।
করোনা আবহ. তাই সমস্ত বিধি মেনে সানিটাইজড করে মা দুর্গার মূর্তি ভিনদেশে পাঠানোর জন্য প্যাকিং করেছেন বলে জানিয়েছেন শিল্পী কৌশিক বসু। তিনি জানান, আমেরিকা থেকেও ইতিমধ্যে প্রতিমার বরাত পেয়েছেন। তবে অন্যান্যবার ত্রিশটি বা তার বেশি প্রতিমার বরাত ভিনদেশ থেকে পান। এ বছর সেই সংখ্যা কমে হয়েছে আট। কম হলেও, তবুও তো যাচ্ছে! করোনা আবহ,তাই এটুকুতেই স্বস্তি খুঁজছেন শিল্পী।