দিলীপ ঘোষ, সুব্রত চ্যাটার্জির বিরুদ্ধে সংগঠনকে কুক্ষিগত করার অভিযোগ করেই দিল্লি ছেড়েছেন মুকুল রায়

নীল বনিক, আমাদের ভারত, কলকাতা, ২৪ জুলাই: সংগঠনকে কুক্ষিগত করার অভিযোগ নিয়ে তীব্র বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়ে দিল্লি ছড়েন মুকুল রায়। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সামনেই বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন দিলীপ ঘোষ ও মুকুল রায়। মুকুলের অভিযোগ, সংগঠনকে কুক্ষিগত করে রেখেছেন সুব্রত চ্যাটার্জি এবং দিলীপ ঘোষ।

বুধবার দিল্লিতে দলের কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়র বাড়িতে বসে বিজেপির বৈঠক। সেখানে পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে সর্বভারতীয় বিজেপির সংগঠন সম্পাদক শিবপ্রকাশ। তার রিপোর্টে বলা হয়েছে এই মুহূর্তে রাজ্যে ভোট হলে বিজেপি ১৯০ টি আসন পাবে। শিবপ্রকাশের রিপোর্ট নিয়েও সংসয় প্রকাশ করেন মুকুল রায়। সেইসময় বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ১৯০টি আসন পাওয়ার ব্যাপারে মত প্রকাশ করেন। পাল্টা মুকুল রায় সংগঠনের হাল নিয়ে মুখ খোলেন। তিনি তথ্যতুলে ধরে বলেন এই মুহূর্তে ভোট হলে কতবুথে এজেন্ট দিতে পারবে বিজেপি। তারপরেই দিলীপ ঘোষের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

বৈঠক চলাকালিন মুকুল রায় দিলীপ ঘোষ ও সুব্রত চ্যাটার্জির বিরুদ্ধেও সরাসরি মুখ খোলেন। কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে বলেন রাজ্যে সংগঠনকে তারা দুজনে কুক্ষিগত করে রাখছে। কোনও বিষয়েই নিজেদের দুএকজন ছাড়া অন্য কোনও ব্যাক্তির সঙ্গে দলের ব্যাপারে মতামত নেওয়া হয় না। বৈঠক যত এগোয় ততই বিরোধ বাড়ে দুজনের মধ্যে। চলে দুজনের যুক্তি ও পাল্টা যুক্তি। বৈঠক শেষে মুকুল রায় কৈলাস বিজয়বর্গীয়র বাড়ি ছাড়ার আগে দলের রাজ্য সভাপতির সঙ্গে কথা পর্যন্ত বলেননি বলে বিজেপি সূত্রের খবর।
দুজনের বাদানুবাদ এমন জায়গায় পৌছায় যে বৃহস্পতিবার দিল্লিতে থাকলেও বৈঠকে যাননি মুকুল রায়। বেলা বাড়তেই মুকুল রায়ের কলকাতা পৌছানোর কথা শুনতে পান কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তাঁকে বোঝাতে মুকুল রায়ের কাছে দূত পাঠান কৈলাস বিজয়বর্গীয়। কিন্তু অভিমানী মুকুল রায় কোনও কথাই শোনেননি।
শুক্রবার অবশ্য মুকুল রায় কলকাতা ফিরেছেন। এদিনও ২০২১ নিয়ে দিল্লিতে বৈঠক চলছে। তবে বৈঠক ছাড়ার কথা মানতে চাননি মুকুল রায়। দমদম বিমানবন্দরে মুকুল রায় জানিয়েছেন, “আমার চোখের চিকিৎসা চলছে। সেই চিকিৎসা করাতেই আমি কলকাতায় ফিরেছি। এতে কোনও জল্পনা বলে কিছু নেই। জল্পনা তৈরি করছে সাংবাদিকরা। এরপরেই ২০২১ এর বিজেপির প্রস্তুুতি সঠিক পথে চলছে বলে জানান বিজেপির জাতীয় পরিষদের সদস্য মুকুল রায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *