বিবেকানন্দ বিকাশ পরিষদের বহুমুখী সেবা কাজ

আমাদের ভারত, দুর্গাপুর, ৩ অক্টোবর: বিবেকানন্দ বিকাশ পরিষদ, দুর্গাপুর। ২৫ বছর আগে গ্রাম বিকাশ যোজনার অন্তর্গত লাউদোহা খন্ডের ইছাপুর গ্রামে প্রয়াত মলয় কুমার রায় এম এ এম সির আধিকারিক তথা রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের জেলা কার্যবাহের প্রচেষ্টায় এই সেবা কেন্দ্র তৈরি হয়েছিল। সেসময় শিশু সংস্কার কেন্দ্র, সেলাই প্রশিক্ষণ এবং স্বয়ম্ভর গোষ্ঠী কাজ শুরু হয়েছিল। সেই কাজগুলো আজও সুচারুভাবে পরিচালিত হয়।
বিশেষ করে এলাকার বিভিন্ন গ্রামের তফসিলি জাতি, জনজাতি বাড়ির ছেলেমেয়েরা সেখান থেকে সংস্কার পেয়ে মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বিশেষ কৃতিত্ব অর্জন করে। বিগত কয়েক বছর ধরে এখানে অষ্টম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পর্যন্ত পাঠদান কেন্দ্রে দুঃস্থ গ্রামীণ ছাত্র ছাত্রীদের পড়াশোনার ব্যবস্থা হয়েছে। তাদের সহায়তা করার জন্য কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, অংকন প্রশিক্ষণও চালু হয়েছে। স্বয়ংবর গোষ্ঠীর মাধ্যমে গ্রামের মহিলাদের ডালবড়ি, পাপড়, মুড়ি ভাজা ইত্যাদি আর্থিক সংস্থান করে। এই কেন্দ্রের থেকে যারা আগে পড়াশোনা করেছে তারা এখন নিজেদের এলাকার প্রায় ১৫ টি গ্রামে শিশু সংস্কার কেন্দ্র পরিচালনা করে।
একাজের সঙ্গে যুক্ত আছেন প্রান্ত সেবা প্রমুখ মনোজ চট্টোপাধ্যায়, কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক মলয় কালী, কেন্দ্র সংগঠক কালোসোনা নাগ। অংকন শিক্ষক মানিক চক্রবর্তী।

বর্তমানে একুশ জন ছাত্র-ছাত্রী আছে তাদের প্রতি মঙ্গলবার স্পোকেন ইংলিশ শেখান হয়। করোনা পরিস্হিতিতে এই কেন্দ্র থেকে সক্রিয় সহযোগিতা করা হয় মাক্স তৈরি, রান্না করা খাবার, খাদ্য সামগ্রী বিতরণ, পুলিশের কার্যরতদের চা জলে ব্যবস্থা করা হয়।
বাহান্নটি পরিবারকে এখনও নিয়মিত খাদ্য সামগ্রী দেওয়া, চিকিৎসা সহায়তা করা হয়।
বিবেকানন্দ বিকাশ পরিষদ, দুর্গাপুর কেন্দ্রের সেবাকাজের প্রভাবে বিভিন্ন মানুষ, সংস্থা-সংগঠন প্রসংশা করেছে।
সেবাকেন্দ্রের সঙ্গে যুক্ত এবং এবছর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে তাদের ২রা অক্টোবর ইছাপুর সেবা ভবনে সম্বর্দ্ধনা দেওয়া হয়। বিশেষ ভাবে এসব ছাত্র ছাত্রীদের মায়েদের সন্মান জানাতে সকল মায়ের হাতে নুতন শাড়ি ও মিষ্টির প্যাকেট দেওয়া হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *