আমাদের ভারত, ২১ জানুয়ারি:নাবালিক মেয়ের ধর্ষণে অভিযুক্তকে আদালত চত্বরে নিজের লাইসেন্সপ্রাপ্ত বন্দুক থেকে গুলি করে খুন করল নির্যাতিতার বাবা। মেয়ের উপর নির্যাতনের প্রতিশোধ নিতেই কি নিজের হাতে আইন তুলে নিল প্রাক্তন বি এস এফ জওয়ান?
শুক্রবারের এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরে।
বিহারের মোজাফফরপুরের বছর ২৫ এর দিলশাদ হোসেন অপহরণ ও ধর্ষণে অভিযুক্ত। তার এর বিরুদ্ধে ২০১২ সালের পকসো আইনে মামলা চলছে। শুক্রবার দেওয়ানী আদালতে মামলার শুনানি ছিল। সংবাদ সংস্থাকে এডিজি অখিল কুমার বলেন, পকসো মামলায় হোসেনের বিচার চলছিল। মেয়েটির বাবা অভিযুক্তকে নিশানা করে গুলি চালায়। ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়। পুলিশ হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করেছে। আইনজীবী ও আদালতে হাজির লোকজনের সাহায্যে হামলাকারীও ধরা পড়েছে। অভিযুক্ত যে দরজা দিয়ে ঢুকে ছিল সেখানে মোতায়েন পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
জানা গেছে কোর্ট চত্বরের বাইরে দুপক্ষের কথাকাটাকাটি হয়। মেয়ের ধর্ষণে অভিযুক্তকে হত্যার পর ধৃত প্রাক্তন বিএসএফ জওয়ান জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, দিলশাদ ২০২০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি তার মেয়েকে অপহরণ করে। পুলিশ জানিয়েছে দিলশাদ জামিনে বাইরে ছিল। করোনা সংক্রান্ত নিয়মবিধি থাকায় আদালতের গেটের সামনে আইনজীবীর সঙ্গে সে দেখা করতে গিয়েছিলো। কিন্তু দিলশাদের আইনজীবী সেখানে পৌঁছানোর আগেই সে সেখানে হাজির হয় নির্যাতিতার বাবা ও ভাই। দিলশাদের মাথায় গুলি করলে সেখানে এসে লুটিয়ে পড়ে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দিলশাদ ধর্ষিতার বাড়ির কাছেই সাইকেল সারানো দোকান চালাত। ওই বিএসএফের জওয়ানের নাবালিকা মেয়েকে সে অপহরণ ও ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। তার বিরুদ্ধে পকসো আইনে অপহরণ ও ধর্ষণের মামলা দায়ের হয়। হায়দ্রাবাদ থেকে দিলশাদ গ্রেফতার হয়। বারহালগঞ্জ থানার পুলিশ মেয়েটিকেও দিলশাদের হেফাজত থেকে উদ্ধার করে। দিলশাদকে জেলে পাঠানো হয়। দুমাস আগে সে জামিনে জেলের বাইরে বেরোয়।