আমাদের ভারত, ১৫ জুলাই: মহারাষ্ট্রের পালঘরে গণপিটুনিতে দুই সাধুর নৃশংস হত্যার ঘটনা এখনো ফিকে হয়নি দেশবাসীর মনে থাকে। তার মধ্যেই আবার এক শিব মন্দিরের পুরোহিতকে পিটিয়ে হত্যার করার অভিযোগ উঠল এক মুসলিম যুবকের বিরুদ্ধে। এবারের ঘটনা আদিত্যনাথ যোগীর রাজ্য উত্তর প্রদেশের মেরঠ জেলার।
প্রথমে এই ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। কিন্তু স্থানীয় মানুষ প্রতিবাদ জানিয়ে ওই পুরোহিতের মৃতদেহ নিয়ে রাস্তায় বসে পড়ে। এরপরই নড়েচড়ে বসে পুলিশ। গ্রেপ্তার করে অভিযুক্ত আনাস কুরেশিকে। ঘটনাস্থল পৌঁছান স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক। বিক্ষোভকারী মানুষের সঙ্গে কথা বলে তিনি তাদের শান্ত করেন।
মেরঠের ভাবনপুরের আব্দুল্লাহ বাজারে একটি শিব মন্দিরের পুরোহিত ছিলেন কান্তি প্রসাদ। মন্দির চত্বরেই ছিল তার একটি দোকান। তিনি মন্দিরের পুরোহিতও ছিলেন। সর্বদাই তার গলায় একটা গেরুয়া রঙের গামছা থাকতো। পরনে থাকতো হলুদ পোশাক। সাধু বেশেই তাকে দেখা যেত। মঙ্গলবার কান্তি প্রসাদ ইলেকট্রিক বিল জমা দিতে যান। ফেরার সময় আনাস কুরেশি নামে এক যুবক তাকে উত্যক্ত করতে শুরু করে। কান্তি প্রসাদের গলায় গেরুয়া গামছা ও কপালের তিলক কাটা নিয়ে ঠাট্টা তামাশা শুরু করে আনাস। পুরোহিতকে কটু কথাও বলে সে। এরপরই কান্তি প্রসাদ ওই কটুক্তির প্রতিবাদ করলে তাকে বেধড়ক মারধর করতে শুরু করে আনাস। বৃদ্ধকে রাস্তায় ফেলে পালিয়ে যায় সে। এরপর কোনরকমে গ্রামে ফিরে আনাসের বাড়িতে অভিযোগ জানাতে যান কান্তি প্রসাদ। সেই সময় আনাস ফিরে এসে তাকে আবার বেধড়ক মারধর করতে শুরু করে।
স্থানীয় মানুষের অভিযোগ আনাস ও তার বাড়ির লোক মিলে ব্যপক মারধর করে কান্তি প্রসাদকে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়। এরপরই বুধবার সকালে কান্তি প্রসাদের মৃতদেহ নিয়ে রাস্তায় প্রতিবাদের নামে সাধারণ মানুষ। তারপরেই আনাস কুরেশিকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। গ্রামে চাপা উত্তেজনা থাকায় সেখানে বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।