মেয়ের বার্থ ডে গিফট নিয়ে ফেরা হল না ঘরে, মণিপুরে জঙ্গি হানায় শহিদ মুর্শিদাবাদের জওয়ান, শোকের ছায়া গ্রামজুড়ে

আমাদের ভারত, মুর্শিদাবাদ, ১৪ নভেম্বর: শনিবার সকালে মণিপুরে জঙ্গি হানায় নিহত হলেন মুর্শিদাবাদের কান্দি মহকুমার খড়গ্রাম ব্লকের কীর্তিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নগর গ্রামের বাসিন্দা যুবক শ্যামল দাস। এদিন রাতে কীর্তিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নগরে শ্যামল দাসের বাড়িতে খবর পৌছতেই গ্রামজুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে। রবিবার কীর্তিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নগর গ্রামে শ্যামল দাসের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় চারিদিকে শুধু কান্নার আওয়াজ।

স্বামীর দুদিন আগেকার ফোনের বার্তালাপ বারবার মনে পড়ছে শহিদের স্ত্রী সুপর্ণা দাসের। তিনি জানিয়েছেন, দু’দিন আগেই একমাত্র মেয়ে দিয়া দাসের জন্মদিন ছিল। মেয়েকে হ্যাপি বার্থডে জানিয়ে শেষ ফোন করেছিল ওর বাবা। জানিয়েছিল খুব তাড়াতাড়ি হ্যাপি বার্থ ডের গিফট নিয়ে ফিরবে দেশে। শনিবার রাতে জঙ্গি হানায় তার নিহত হওয়ার খবর আসে।

অপরদিকে শ্যামল দাসের পিতা ধীরেন দাস জানিয়েছেন, আমরা খুবই দুঃস্থ পরিবারের। আমার দুই ছেলে। ছোট ছেলে কিছুদিন আগেই মারা গেছে। বড় ছেলে দেশরক্ষায় অসম রাইফেলে কর্মরত ছিল মণিপুরে। ২০০৯ সালের নভেম্বর মাসে বড় ছেলে শ্যামল যোগদান করে অসম রাইফেলসে। ছেলের মূল লক্ষ্য ছিল বড় হওয়া। জঙ্গিদের সাথে বহুবার মোকাবিলা হয়েছে যখনই ছেলে এসেছে বাড়ি তখনো শুনিয়েছিল সেইসব কথা। কিন্তু এবার ওই জঙ্গিদের হাতে সব শেষ হয়ে গেল। তবে ছেলের এই মৃত্যুতে আমি শোকাহত নই। কারণ আমি মনে করি আমার ছেলে শহিদ হয়েছেন। আর শহিদের প্রাণ সকলের ঊর্ধ্বে। জঙ্গিরা কাপুরুষ। সরকারের কাছে অনুরোধ যেন ওদের খুঁজে বের করে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়।

এদিন সকাল থেকেই মণিপুরের জঙ্গি হামলায় নিহত শ্যামল দাসের বাড়িতে খোঁজখবর করার জন্য সমবেদনা জানানোর জন্য কাতারে কাতারে মানুষ গ্রামবাসী ভিড় জমিয়েছিলেন। সকলকে ধরে ধরে শহীদের মা (শ্যামল দাস) শুনিয়েছেন, ছেলের রেখে যাওয়া স্মৃতির কথা। বার্তালাপ।জানিয়েছেন, পুজোর আগেই ছেলে বাড়ি
ফিরেছিল। কিন্তু দুর্গাপুজোর পঞ্চমী দিন কর্মস্থলে ফিরে যায়। তখন বলে গেছিল অগ্রহায়ন মাসে জমির নতুন ধানের নবান্ন উৎসবে অবশ্যই ফিরবে গ্রামে। কিন্তু তার আগেই ছেলের শহিদের খবর ম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *