ট্রেনে কাটা পড়ে বীরভূমে রহস্য মৃত্যু মা ও শিশুপুত্রের

আশিস মণ্ডল, রামপুরহাট, ১২ জানুয়ারি: ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু হল মা ও শিশুর। ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমান-সাহেবগঞ্জ লুপলাইনে মল্লারপুর-তারাপীঠ রোড স্টেশনের মাঝে জয়রামপুর সেতুর কাছে। মা ও শিশু পুত্রের মৃত্যু দুর্ঘটনা না আত্মহত্যা তার তদন্ত করছে রেল পুলিশ।

জানা গিয়েছে, মৃত গৃহবধূর নাম পাপিয়া লেট (২৬)। তাঁর বাপের বাড়ি বীরভূমের রামপুরহাট থানার মালসা গ্রামে। বছর চারেক আগে মল্লারপুর থানার গয়েশপুর গ্রামে তাঁর বিয়ে হয়। মঙ্গলবার বেলার দিকে শ্বশুর বাড়ি থেকে ১৮ মাসের শিশুপুত্রকে কোলে নিয়ে বাপের বাড়ি আসছিলেন। টোটোতে চড়ে তিনি বাপের বাড়ি সংলগ্ন জয়রামপুর সেতুর কাছে নামেন। এরপরেই দুপুরের দিকে বাড়ির অদূরে জয়রামপুর সেতুর কাছে মা ও ছেলের মৃতদেহ রেললাইনে পড়ে থাকতে দেখেন এলাকার মানুষ। তার সঙ্গে থাকা ব্যাগ রাখা ছিল জয়রামপুর বাস স্টপেজে।

পেশায় মল্লারপুর থানার সিভিক ভলান্টিয়ার স্বামী রাজকুমার লেট বলেন, “আমাদের মধ্যে কোনো অশান্তি ছিল না। আমাকে জয়দেব মেলায় ডিউটি দেওয়া হয়েছে। এদিন যাওয়ার কথা ছিল। এদিকে বুধবার রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লকে আধার লিঙ্ক করার কথা। তাই স্ত্রীকে বলেছিলাম তুমি বাড়ি গিয়ে তোমার মাকে নিয়ে আধার লিঙ্কটা করিয়ে নাও। সেই মতো এদিন সকালে গ্রামের একটি পরিচিত টোটোতে স্ত্রী ও ছেলেকে চাপিয়ে দিয়েছিলাম। টোটো চালককে বলেছিলাম বাড়িতে নামিয়ে দেবে। পরে টোটো চালকের কাছ থেকে জানতে পারলাম স্ত্রী জোর করে জয়রামপুর বাস স্টপেজের কাছে টোটো থেকে নেমে যায়। টোটো চালককে সে বলে তার দাদা নিয়ে যাবে। আমি দুপুরে জয়দেব মেলায় ডিউটি যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। সেই সময় দুসংবাদ আসে”।

মৃত গৃহবধূর কাকা সুকুমার লেট বলেন, “আমরা খবর পেয়ে রেল লাইনের ধারে মৃতদেহ দেখতে পেলাম। বাড়ি আসার কথা ছিল ভাইজির। কিন্তু কেন এরকম হল বুঝতে পারছি না”।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *