আমাদের ভারত, আলিপুরদুয়ার, ১ জুলাই: মাদারিহাট থানার উত্তর ছেকামারি এলাকায় এক বয়স্কের মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে জোর জল্পনা ছড়িয়েছে। হাতির হামলায় নাকি অন্য কোনও কারনে মৃত্যু, তা নিয়েই ছড়িয়েছে বিতর্ক। পুলিশ ও বনদফতরের মধ্যেও শুরু হয়েছে টানাপোড়েন। চলেছে চাপানউতর।
পরিবার সহ গ্রামের একাংশের থেকে জানা গেছে, বুনো হাতির আক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ভক্তদাস শর্মা (৫৪) নামের ওই ব্যক্তির। মঙ্গলবার সকালে মৃতের দেহ উদ্ধারের পর থেকেই এমন একটা খবর ছড়িয়ে পরে। কিন্তু খবর পেয়ে গ্রামে এসে মৃতদেহ এবং তার আশপাশ পরীক্ষা করে হাতির হানায় মৃত্যুর দায় নিতে নারাজ বনদফতর। বনদফতরের দিক থেকে জানা যায়, সোমবার রাতে উত্তর ছেকামারি এলাকায় হাতির আনাগোনার কোনো প্রমাণ নেই। জানা যায়, সোমবার রাত আটটার সময় দুধ আনতে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান ভক্তদাস শর্মা। তারপর গ্রামের নির্জন এলাকার একটি সেগুন বাগান থেকে ওই ব্যক্তির ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধারের হয়।
বিতর্কের অবসানে এখন ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার অপেক্ষায় বন দফতর। অবশ্য পরিবারের দাবি, হাতির হানাতেই মৃত্যু হয়েছে ওই প্রৌঢ়ের। মৃতের বড় ছেলে প্রকাশ শর্মার কথায়, “কেউ খুন করলে কি বাবার মোবাইল ফোন ফেলে যেতো? তাছাড়া মৃতদেহের চারপাশে হাতির অনেক পায়ের ছাপ ও মাটির ধস লক্ষ্য করা গিয়েছে। আর আমার বাবার কোনো শত্রু ছিলনা।”
জলদাপাড়া বনবিভাগের ডিএফও কুমার বিমল জানিয়েছেন, “ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষণের পর প্রাথমিকভাবে আমরা নিশ্চিত যে ওই ব্যক্তির হাতির হামলায় মৃত্যু হয়নি।ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এর অপেক্ষায় রয়েছি।” জয়গাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুন্তল বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “আমরা ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় আছি।”