সাথী দাস, পুরুলিয়া, ২১ জুন: স্কুল হোস্টেলের ঘুমন্ত আবাসিক ছাত্রের গলা কাটার ঘটনায় রহস্য থেকে গিয়েছে আজও। পুরুলিয়ার হুড়ায় হুড়া থানা এলাকার একটি বেসরকারি স্কুলের হোস্টেলে ঘটনাটি ঘটেছে। এক সপ্তাহ আগের ঘটনা আজ জানাজানি হওয়ায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে অষ্টম শ্রেণিতে পাঠরত ওই ছাত্রের গ্রামে। ঘটনা নিয়ে জখম ছাত্রের বাবা অভিযোগ জানিয়েছেন হুড়া থানায়। ঘটনাটি গত ১৩ জুন রাতের বেলা ঘটলেও বিষয়টি ধামাচাপা ছিল। ঘটনার এতদিন পরেও পুলিশ কিংবা স্কুল কর্তৃপক্ষ কোনো ইতিবাচক পদক্ষেপ
নেয়নি বলে অভিযোগ জখম ছাত্রের বাবা মঙ্গল মাহাতোর।
পুরুলিয়া মফস্বল থানার আড়িতা গ্রামের বাসিন্দা তিনি। তিনি জানান, তাঁর ছেলে মৃত্যুঞ্জয় ফুটিয়ারি দক্ষিণেশ্বরী বিদ্যামন্দিরে হোস্টেলে থেকে পড়াশোনা করত । ১৩ জুন রাতে হোস্টেলে ঘুমন্ত অবস্থায় তাঁর ছেলে চিৎকার করে ওঠে। সতীর্থরা দেখে যে মৃত্যুঞ্জয়ের গলা থেকে রক্ত ঝরছে। চিকিৎসার পর স্কুল কর্তৃপক্ষ তাঁকে ঘটনাটি জানালে তিনি ছুটে গিয়ে সেখান থেকে ছেলেকে বাড়ি নিয়ে যান। রহস্যজনক এই ঘটনাটি নিয়ে দু’দিন পর হুড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। অভিযোগ করা হয় প্রধান শিক্ষকের কাছেও। কিন্তু ঘটনাটি কীভাবে ঘটল বা এই ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত সে বিষয়টি এখনো স্পষ্ট হয়নি।
ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক বাবলু মাহাতো ঘটনার কথা স্বীকার করে বলেন, “তিন জন ছাত্রের সঙ্গে মৃত্যুঞ্জয়ের ঝামেলা হয়েছিল। এই ঘটনার সঙ্গে তারা জড়িত রয়েছে কি না তা জানার চেষ্টা চলছে।”
হুড়া থানার ওসি জানান, “সহপাঠীদের সঙ্গে ওই ছাত্রের ঝামেলার জেরে ঘটনাটি ঘটেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে তারা জানতে পেরেছেন।”
আজ কুস্তাউর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ছেলের চিকিৎসা করাতে এসে ঘটনাটিকে প্রকাশ্যে আনেন জখম স্কুলপড়ুয়ার ক্ষুব্ধ বাবা।