আমাদের ভারত, হুগলী, ২৩ জুন: মাহেশের রথের ৬২৪ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম রথের চাকা রাজপথে গড়াল না। করোনার আবহে সারা পৃথিবী স্তব্ধ হয়ে গেছে। মারণ ব্যাধির প্রকোপে সবকিছু আচার অনুষ্ঠান সরকারি বিধি নিষেধ মেনে করতে হচ্ছে। আর এর থেকে বাদ পড়েনি দেবালয় গুলিও। তাই এবছর ঐতিহাসিক মাহেশের রথযাত্রা মন্দিরের মধ্যেই করতে হল।
আজ সকাল থেকে তিন বিগ্রহকে গর্ভগৃহ থেকে এনে মন্দিরের চাতালে রাখা হয়। সেখানে চলে পূজা-অর্চনা। সাধারণের প্রবেশ সেখানে ছিল নিষিদ্ধ। যে ভক্তরা এসেছেন তারা মহাপ্রভুকে পুজো দিয়েছেন দূর থেকেই। জগন্নাথ-দেব ট্রাস্টি বোর্ডের সম্পাদক পিয়াল অধিকারী জানান ৬২৪ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম রথ যাত্রার দিন প্রভু মাসির বাড়ি গেলেন না। প্রশাসনের কঠোর নির্দেশে আমরা সবকিছু রীতিনীতি নিয়ম মন্দিরের মধ্যেই পালন করলাম। পূজা-অর্চনা শেষে বিকাল তিনটের পর নারায়ণ শিলা নিয়ে শ্রীরামপুরের সাংসদ সহ সেবাইতরা মাসির বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। চন্দননগর পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবীরের উপস্থিতিতে সাধারণ মানুষ দূর থেকেই প্রত্যক্ষ করেন সেই যাত্রা।
যেভাবে মরণব্যাধি সারাবিশ্বে হানা দিয়েছে তারই পরিপেক্ষিতে প্রশাসনের কঠোর নির্দেশ মেনে আমাদের এবারের সব নিয়ম পালন করতে বাধ্য হচ্ছেন আমজনতা। রথযাত্রা ও তার ব্যতিক্রম নয়।