পরিবর্তনশীল শিক্ষণপদ্ধতি নিয়ে জাতীয় স্তরের আলোচনাচক্র

অশোক সেনগুপ্ত
আমাদের ভারত, ৭ ডিসেম্বর: অতিমারী-পরবর্তী পটভূমি এবং নয়া শিক্ষানীতির চাহিদা মেনে অনেকটাই বদলে যাচ্ছে সামগ্রিক শিক্ষণপদ্ধতি। সময়ের এই পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার জন্য উদ্যোগী হয়েছে বাবাসাহেব অম্বেদকর এডুকেশন ইউনিভার্সিটি (বিএসএইইউ, পূর্বতন দি ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি অফ টিচার্স ট্রেনিং, এডুকেশন, প্ল্যানিং অ্যান্ড অ্যাডমিনিষ্ট্রেশন)। তারা ‘চেঞ্জিং ল্যান্ডস্কেপ অফ এডুকেশন ইন দি কনটেস্কট অফ এনইপি ২০২০, ন্যাশনাল প্রফেশনাল স্ট্যান্ডার্ড অফ টিচার্স অ্যান্ড টিচার্স এডুকেশন’ নামে একটি জাতীয় স্তরে শিক্ষানীতির আলোচনাচক্রের আয়োজন করছে।

১৯৮৫ সালের চট্টোপাধ্যায় কমিটি থেকে ২০০৯-এর শিশুশিক্ষা অধিকার (আরটিই)— যুগে যুগে বদলেছে প্রশিক্ষণের নীতি ও ঘরানা। ১৯৮৬ ও ’৯২-এর জাতীয় শিক্ষানীতি, ১৯৯০-এর আচার্য রামমূর্তি কমিটি, ’৯৩-এর যশপাল কমিটি, ২০০৫-এর ন্যাশনাল কারিকুলাম ফ্রেমওয়ার্ক— প্রতিটির সুপারিশেই এসেছিল উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন। দক্ষিণ কলকাতায় বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডে প্রতিষ্ঠানের ডেভিড হেয়ার ক্যাম্পাসে প্রস্তাবিত জাতীয় স্তরের আলোচনাচক্রে বিভিন্ন আলোচনায় ২০৩০-এর প্রস্তাবিত শিক্ষানীতির সাপেক্ষে তাই যথেষ্ঠ গুরুত্ব আছে বলে মনে করছেন শিক্ষাবিদদের অনেকে।

‘কেন্দ্রীয় হিন্দি সংস্থান’-এর সঙ্গে ১৬ ও ১৭ ডিসেম্বর যৌথভাবে হবে এই আলোচনাচক্র। এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসাবে থাকবেন বিএসএইইউ-এর উপাচার্য অধ্যাপক ডঃ সোমা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ‘কেন্দ্রীয় হিন্দি সংস্থান’-এর অধিকর্তা অধ্যাপক ডঃ বীণা শর্মা। প্রধান অতিথি থাকবেন কেন্দ্রীয় হিন্দি সংস্থানের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক অনিল কুমার শর্মা।

বিএসএইইউ-এর উপাচার্য অধ্যাপক ডঃ সোমা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রতিবেদককে জানান, ভারত সরকারের শিক্ষামন্ত্রকের অধীনস্থ ‘কেন্দ্রীয় হিন্দি সংস্থান’ হিন্দির প্রচার বা প্রসার ছাড়াও শিক্ষক প্রশিক্ষণ নিয়ে নিরন্তর চর্চা করে। তাদের আঞ্চলিক দফতরের সহযোগিতায় দু’দিনের সম্মেলনে সংশ্লিষ্ট বিষয়সমূহ নিয়ে বলবেন সর্বভারতীয় স্তরের একাধিক প্রখ্যাত অদ্যাপক ও শিক্ষাবিদ।

জাতীয় স্তরের এই আলোচনাচক্রের সংগাঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক ডঃ মৃণাল মুখার্জি জানান, শিবিরে দু’দিন তিনটি করে টেকনিক্যাল সেশন থাকবে। বাছাই কিছু গবেষণাপত্র শিবিরে পড়ার সুযোগ থাকবে। আশা করা যায় এই দু’দিন ষাটের অধিক গবেষক তাঁদের গবেষণাপত্র উপস্থাপন করার সুযোগ পাবেন। এগুলোর মধ্যে নির্বাচিত বিভিন্ন গবেষণাপত্র প্রয়োজনে পরিমার্জনের পর ‘কেন্দ্রীয় হিন্দি সংস্থান’-এর সঙ্গে যৌথভাবে প্রকাশনারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *