আমার ভারত, ২৭ মার্চ: ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতিতে ইতিমধ্যেই নেমে পড়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। বিজেপির বিরুদ্ধে বিরোধীরা কী একত্রিত হতে পারবে? সেই জল্পনা প্রতি বারের মতো এবারেও শুরু হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের সেখানে কি ভূমিকা হবে? এখনো পর্যন্ত দেখা গেছে, তৃণমূল কখনো কংগ্রেসের পক্ষে কথা বলছেন আবার কখনো বড়সড় দূরত্ব বজায় রাখছেন। ফলে তৃণমূলের বিরোধী জোটের ভূমিকা স্পষ্ট নয়। কিন্তু আগের লোকসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবেই তার দল প্রচার করেছিল। এবার কি হবে? এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়েই বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার কটাক্ষ করে বলেছেন, ভাইপো গুঁতো দিচ্ছে পিসি উপরে উঠতে না পারলে ভাইপোর চেয়ারে বসা হবে না।
বিরোধী জোটে তৃণমূলের অবস্থান ঠিক কি হবে? এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, তৃণমূল কনফিউজড, কোন দিকে যাবে তারা জানে না। তারা রাহুল গান্ধীকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে মেনে নেবে, নাকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী করবে, সেটাই এখনো ঠিক করে উঠতে পারেনি বলেই দাবি তার। তবে কটাক্ষের সুরে তিনি বলেন, “রাজ্য থেকে ভাইপো গুঁতো দিচ্ছে কারণ পিসি উপরে না উঠলে ভাইপো চেয়ারে বসতে পারবে না” তিনি বলেন, তৃণমূলের খানিকটা ধরি মাছ না ছুঁই পানির মতো অবস্থা। বিরোধীদের বৈঠকে কখনো যাচ্ছে কখনো যাচ্ছে না। কখনো কংগ্রেসের গলা জড়িয়ে ধরছে কখনো সম দূরত্ব বজায় রাখছে। তার কথায়, “একটা বিদঘুটে অবস্থায় রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের এই মুহূর্তে।
একই সঙ্গে তিনি এটাও জানিয়েছেন, বিরোধীরা বাইরে আলাদা দেখালেও পর্দার পেছনে সবাই একসাথে রয়েছে। কটাক্ষ করে সুকান্ত বলেছেন, “আমরা অপেক্ষা করছি এটা দেখার যে অধীর চৌধুরী এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাত ধরে আয় তবে সহচরী গান গাইবেন কিনা?”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিজেপি বার বার বলে তৃণমূলের দলের রাশ এখন মমতার বদলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে। একই সঙ্গে তাদের দাবি,অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আগামীতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী করার পরিকল্পনা রয়েছে তৃণমূলের।
অন্যদিকে রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে আজ আবারো সরব হন সুকান্ত মজুমদার। তাঁর কথায় রাহুল গান্ধী ওবিসি সমাজের লোকেদের যেভাবে গালিগালাজ করেছে, চোর বলেছে, তাতে ওবিসি সমাজের লোকেরা হাইকোর্টে গেছে। রাহুল গান্ধী এখন সবকিছু নিয়ে জলঘোলা করছে, এই সব না করে উচ্চ আদালতে গিয়ে দাঁড়াতে বলুন তাকে। তার দলে অনেক বড় বড় উকিল আছে, তারা উচ্চ আদালতে আপিল করুক।